অবশেষে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তাকে শপথ পড়িয়েছেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। শুধু জায়েদ খানই নন, একই সাথে শপথ নিয়েছেন জায়েদ পক্ষের আরও চারজন সদস্য। তারা হলেন সহ-সভাপতি পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সুচরিতা ও অরুণা বিশ্বাস।
শুক্রবার বিকেলে এফডিসিতে তাদের শপথ পাঠ করান শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে জায়েদ খানকে শপথ পাঠের দেখাতে হয়েছে হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি।
শপথ পাঠ করানোর আগে ইলিয়াস কাঞ্চন গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ি আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। গঠনতন্ত্রের বাইরে আমাদের যাওয়ার সুযোগ নেই। সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে জটিলতা ছিলো। জায়েদ খান আমাকে কোর্টের সার্টিফাইড কপি দেখিয়েছে, তাই তাকে আমি শপথ পাঠ করাচ্ছি। আদালতের রায়তো আর অমান্য করতে পারি না।’
জায়েদ খান বলেন, ‘মূলত শিল্পী সমিতির প্রথম মিটিং ডেকেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সেই সুবাদে তারাও শপথ গ্রহণ করে নিয়েছেন। তবে জায়েদ পক্ষের হয়ে জয়লাভ করা মৌসুমী, রুবেল, আলীরাজ, রোজিনা ও চুন্নু শপথ নেননি। এর মধ্যে মৌসুমী রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, রোজিনা আছেন রাজবাড়ীতে, অন্যরাও আছেন ঢাকার বাইরে।’
এরআগে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে শপথ নিয়েছিলেন ১১ জন সদস্য। তবে তাতে অংশ নেননি ২৮ জানুয়ারির এ নির্বাচনে জয়ী মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেলের কেউ-ই। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সুরাহা না হওয়া এবং জায়েদ খান তার চেয়ার ফিরে না পাওয়ায় কেউ-ই আপাতত শপথ নিতে চান না। তবে পরবর্তীতে ব্যতিক্রম হিসেবে তাদের প্যানেল থেকে শপথ নেন অঞ্জনা। আর এবার শপথ নিলেন জায়েদ খান সহ মোট পাঁচজন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শেষ হয় ভোটগণনা। ২৯ জানুয়ারি ভোরে ঘোষিত ফলে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সভাপতি ও জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে সাধারণ সম্পাদক পদে আরেক প্রার্থী নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনি আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।
বিষয়টি আদালতে যান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খান ও নিপুণ। হাইকোর্ট, চেম্বার আদালত ঘুরে হাইকোর্টের জারি করা এ সংক্রান্ত রুলকে যথাযথ ঘোষণা করে শেষ পর্যন্ত গত ২ মার্চ জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর ফলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বহাল থাকায় তিনি সাধারণ সম্পাদক পদেও বহাল হয়ে যান। তবে নিপুণ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এ রায়ে তিনি ন্যায় বিচার পাননি। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন