শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

১৫ শিল্প প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ

২ হাজার শ্রমিক বেকার পটিয়া বাইপাসে গোলচত্বর নির্মাণ : ক্ষতিপূরণ পায়নি অনেক প্রতিষ্ঠান

এস. কে. এম. নুর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০৭ এএম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নির্মানাধীন পটিয়া বাইপাস মোড়ে একটি গোলচক্কর নির্মাণ করতে গিয়ে লবন শিল্পসহ প্রায় ১৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ পেলেও ৫টি প্রতিষ্ঠান কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাই সল্ট ক্রাসিং মিল, জালালাবাদ ক্রাসিং মিল, করিম সল্ট ক্রাসিং মিল, মর্ডান সল্ট ক্রাসিং মিল। ১৯৫৪-৫৫ সনের ভ‚মি অধিগ্রহণ গেজেট দেখিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশের ক্ষুদ্র আরো ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদ করা হলেও তাদের অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ দেয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদের কারণে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে গেছে। কর্ম হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লাইনে উন্নয়নের জন্য সরকার ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অনুমোদন দেয়। এরমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ভ‚মি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হয়েছে। এ মহাসড়কের ৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি স্থানে সেতু নির্মাণের কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ সেতুগুলো হলো পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু, চন্দনাইশ উপজেলার বরগুনী সেতু, দোহাজারী সাঙ্গু সেতু, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া মাতামুহুরী সেতু। সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি চারটি স্থানে বাইপাস ও ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পটিয়া, দোহাজারী, আমিরাবাদ, চকরিয়া এলাকায় বাইপাস সড়কের ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন অথরিটি (জাইকা)-এর যৌথ অর্থায়নে সড়ক ও সেতু উন্নয়নের কাজ চলছে। কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস মুখে বিশাল আকারে নান্দনীকভাবে তৈরি করা হচ্ছে গোলচক্কর। তা শেখ রাসেল স্মৃতি স্কোয়ার নামে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এ গোলচক্করটি নির্মাণ করতে আশপাশের ৫টি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ আরো ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ইন্দ্রপুল সেতুসহ গোলচক্করে ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ইন্দ্রপুল লবন মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক আল্লাই জানান, আমাদের সমিতির ৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় ১০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ পায়নি।
বর্ডারক্রস সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী জানান, ইন্দ্রপুল এলাকায় কিছু প্রতিষ্ঠানের ১৯৫৪-৫৫ সালে ভ‚মি অধিগ্রহণ করায় তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন