মাটি খেকোদের হাত থেকে কানাইল নদীর পাড় ও ফসলী জমি রক্ষার দাবী জানিয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয়রা।তারা মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষকরা।
শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ভুক্তভোগী স্থানীয়দের মধ্যে কোব্বাত হোসেন, মাওলানা আলী আশরাফ, বাহার উদ্দিন বাহার, রুহুল আমিন, হাজী সিদ্দিক, আবুল হোসেন ডালিম, তিতু মিয়া, শাহ আলম, মোসকো আলী, মাইন উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, কবির মিয়া, ইব্রাহিম ও আব্দুর রহিম প্রমুখ গণমাধ্যমকে জানান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় ৩৫ বছরের পুরনো একটি গভীর নলকূপ দিয়ে প্রায় ৮ হাজার শতক জমিতে বোরো আবাদ হয়। কিন্তু কয়েকজন অংশীদার পরিকল্পিতভাবে ফসলী জমি থেকে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রির স্বার্থে নলকূপটি চলতি মৌসুমে বন্ধ রাখে। ঘোলপাশা ইউনিয়নের বৃহত্তর ধনুসাড়া, গুজরা, হাজীগ্রাম এলাকার ফসলী জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রেখে ফসলী জমি থেকে ভেকু দিয়ে দিনরাত মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে।
কৃষকরা বলেন, মাটি উত্তোলনের ফলে অন্তত ১ হাজার শতকের বেশি ফসলী জমি এখন জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। ধর্মপুর থেকে গুজরা পর্যন্ত কানাইল নদীর অন্তত ৭/৮টি পয়েন্টে নদীর পাড় কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে নদী আর ফসলী জমি এখন একাকার হয়ে গেছে।
কৃষকরা আরও বলেন, ফসলী জমি রক্ষার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভুমি),থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাটি কাটা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয় ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করে মাটি খেকোদের বিচার দাবি করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন