পবিত্র কোরআন মাজিদ তিলাওয়াতে অপরিসীম সওয়াব নিহিত রয়েছে। এ জন্য মানবজাতির হেদায়েতের উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ ঐশীগ্রন্থ আল-কোরআন তিলাওয়াত করা, এর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করা এবং তদনুসারে নেক আমল করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। মহনবী (স.) ইরশাদ করেছেন, উত্তম ইবাদাত হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াত করা।
আল-কোরআন প্রশিক্ষণের ফজিলত সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে আল-কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে তা শিক্ষা দেয়। (সহীহুল বুখারি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা কোরআন তেলাওয়াত কর। কেননা কেয়ামতের দিন কুরআন তার তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হবে।’ (সহীহ মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, ‘কেয়ামতের দিন সিয়াম ও কুরআন বান্দার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে’। (মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তিলাওয়াত করবে, বিনিময়ে সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকির বদলা হবে দশগুণ, এ কথা বলছি না যে, আলিফ-লাম-মিম একটি অক্ষর, বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মিম একটি অক্ষর (তিরমিজি-২৯১)
অতএব পবিত্র কোরআন নাজিলের মাসে প্রত্যেকের উচিত বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। যারা কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন না তারা রমজান মাসে এ সুযোগ নিতে পারেন। কারণ, এ মাস উপলক্ষে দেশের অনেক মসজিদে ফ্রি কোরআন শিক্ষা ক্লাসের ব্যবস্থা থাকে। যাদের বয়স বেশি হয়ে গেছে এবং লজ্জায় শিখতে পারেন না, তারা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। আল্লাহ সবাইকে কোরআন শিখার সুযোগ দিন এবং সহজ করে দিন, আমীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন