বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দশ ঘণ্টা ধরে লাইনে টিকিটপ্রত্যাশীরা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২২, ১১:২০ এএম

ঈদ উপলক্ষে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রেলের আগাম টিকিট বিক্রি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় বিক্রির কার্যক্রম। টিকিট নিতে গতকাল মধ্যরাত থেকে লাইনে এসে দাঁড়ান যাত্রীরা। তবে এবার টিকিটে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার যুক্ত করতে হচ্ছে বলে সময় বেশি লাগছে, আর এর কারণে ভিড় কমতেও লাগছে অতিরিক্ত সময়। প্রতিজনের টিকিট কাটতে কমপক্ষে তিন মিনিট থেকে পাঁচ মিনিট সময় লাগছে। কারো কারো ক্ষেত্রে সাত মিনিটও লেগে যায়।

টিকিট দিতে সময় লাগায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট দেয়া হচ্ছে, তবে এনআইডি কার্ডের নাম্বার সংযুক্ত করতে কিছুটা সময় লাগছে। তাই যাত্রীদের ধৈর্য ধরে টিকিট নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১৯টি কাউন্টারে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে বলেও জানান মাসুদ সারওয়ার।

এদিকে অনলাইনেও টিকিট কাটতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। যদিও বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ সহজ ডট কম বলছে, প্রতি মিনিটে পঞ্চাশ লাখ মানুষ একসাথে হিট করতে পারবে। তবে কে আগে ঢুকতে পারবে, তা নির্ভর করবে মোবাইলের ইন্টারনেট সার্ভিসের ওপর। এদিকে অনলাইনে টিকিট না পাওয়া বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকালে একসাথে সবাই চেষ্টা করার ফলেই সার্ভার জ্যাম হয়ে যায়, তাই টিকিট পাওয়া যায় না।

সকাল আটটায় টিকিট বিক্রি শুরু হলে দীর্ঘ দশ থেকে বারো ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানো টিকিটপ্রত্যাশীরা টিকিট পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। যাত্রীরা জানান, স্বজনদের সাথে ঈদ করতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য এই ভোগান্তি কিছুই না।

কমলাপুর স্টেশনে ভিড় মাত্রাতিরিক্ত হলেও রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশনে ভিড় সে তুলনায় কম। বলা যায় এ স্টেশনে চট্টগ্রামগামী যাত্রীর চাপ নেই বললেই চলে। তবে এ স্টেশনে পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে। এ স্টেশনে এমন অবস্থা যে, টিকিট আছে কিন্তু যাত্রী নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন