যশোর শহরের নীলগঞ্জ শ্মশানপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় মাছের খাবারের সঙ্গে রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল গুড়া হলুদ ও গুড়া মরিচ। এমন কারখানার সন্ধান পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৬ যশোরের ভ্রাম্যমাণ আদালত দু’লাখ টাকা জরিমানা করেছে। ধ্বংস করা হয়েছে জব্দকৃত মাছের খাবার ও রং। রবিবার (৮ মে) দুপুরে নীলগঞ্জ শ্মশানপাড়া এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, নীলগঞ্জ শ্মশানপাড়ার একটি গুড়া হলুদ ও গুড়া মরিচ তৈরির কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড়া হলুদ ও গুড়া মরিচ তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। এই সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রবিবার সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর প্রায় পৌনে দু’টা পর্যন্ত র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পরিচিতি নং-২০৬৮৫) এম মিকাইল ইসলামের নেতৃত্বে ওই কারাখানায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে র্যাব দেখতে পায়, কারখানা মালিক শহরের বেজপাড়া এলাকার মৃত চান্দপদ বিশ্বাসের ছেলে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৫৯) ও বারান্দি মোল্যাপাড়া এলাকার শীতল চন্দ্র অধিকারীর ছেলে দিলীপ অধিকারী (৫৮) মাছের খাবারসহ বিভিন্ন প্রকার রং মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে হলুদ, মরিচের গুড়া তৈরি ও বাজারজাত করছে। এই অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২, ৪৩ ধারায় মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও জব্দকৃত ২০০ কেজি মাছের খাবার ও ৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার রং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন