শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজে ভাগ্য বদলের আশা রিক্তা-শফিকুল দম্পতির

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২২, ৩:২১ পিএম

ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজের মাধ্যমে ভাগ্যের বদল ঘটাতে চান রিক্তা-শফিকুল দম্পতি। রিক্তা ও শফিকুল দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করে গড়ে তুলেছেন ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে। তাদের দীর্ঘ চার বছর পরিশ্রমের ফসল ভাগ্যবতীর ওজন প্রায় ৪৬ মন এবং ভাগ্যরাজের ওজন প্রায় ৪৮ মন।

এ বছর কুরবানির ঈদে (ঈদুল আযাহা) ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে দিয়েই ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে চান এই দম্পতি।

এটা কোনো গল্প নয়; পুরোটায় সত্যি। এলাকার মানুষের কাছে একজন সফল গরু পালনকারী হিসেবে পরিচিত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের উথালী গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলাম। পেশায় শফিকুল একজন গরু ব্যবসায়ী।

সে সুবাদে সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানার অনুপ্রেরণায় একটি গরু দিয়ে গড়ে তোলে ছোট একটি গরুর খামার। যেখানে এখন চারটি উন্নত জাতের গাভী গরু এবং দুইটি এড়ে গরু রয়েছে, যার নাম ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ।

যেহেতু গরুর ব্যবসা তাই শফিকুলকে প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাট-বাজার করতে হয়। আর তাই গরুর পরিচর্চাসহ খামারের যাবতীয় দেখাশোনা তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানার সামলাতে হয়। পরিশ্রমি এই মহিলা রিক্তার পরিশ্রমেই গত ঈদে ভাগ্যবতীর দাম হয়েছিল ৭ লাখ। কিন্তু করোনালকডাউনে গাড়ী বন্ধ থাকায় যারা কিনে ছিলেন তারা নিতে পারছিলেন না।

এ বছর কুরবানির ঈদে ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ নামের এই দুইটি গরু বিক্রি করে সংসারের পরিবর্তন ঘটাতে চান রিক্তা-শফিকুল। পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু সুখে থাকার স্বপ্ন বুনে চলেছেন তারা।

গরু পালনের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর সুখের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন রিক্তা-শফিকুল দম্পতি। এই দম্পতির সুখি, খুশি আর তাবাচ্ছুম নামের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদেরকেও ভালোভাবে মানুষ করার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

শফিকুল ইসলাম জানান,, গরুর ব্যবসা করার কারণেই তার গরু পালন শুরু হয়। তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানা অনেক কষ্ট করে এই গরুর জন্য। এবার ঈদে তাদের পরিশ্রমের ফসল ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে বিক্রি করতে চায়। তাই সকলের সহযোগিতা কামনা করছে শফিকুল।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রধান শিক্ষক এম রেজাউল করিম চুনু জানান, সততা আর পরিশ্রমে যে কোনো কাজ করলেই সফলতা পাওয়া সম্ভব। শফিকুল ও তার স্ত্রী প্রচুর পরিশ্রম করে তার প্রমান দিয়েছেন । তাদের দু’জনের পরিশ্রমেই আজ এই অর্জণ। এছাড়াও তাদের খামারের উৎপাদিত দুধ এলাকার চাহিদা পূরণে বিরাট ভুমিকা রাখছে। শফিকুলের সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই গরু পালনে উৎসাহিত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন