মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বগুড়ায় নকল সার ও কীটনাশকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও কৃষি জমি

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

বগুড়ায় ব্যাপকভাবে ভেজাল ও নকল সার এবং কীটনাশকের উৎপাদন, বিপনন চলছে। এর প্রভাবে ফসলি জমি হারাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদক কৃষক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শস্য ভান্ডারখ্যাত বগুড়া জেলায় রয়েছে শতাধিক বৃহৎ আকারের কীটনাশক রিপ্যাকিং ও বিপনন প্রতিষ্ঠান। এ মধ্যে বগুড়া সদরে ৫০টির মত কৃষি বিভাগের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে কেমিক্যাল আমদানি করে স্থানীয়ভাবে সেগুলো রিপ্যাকিং ও ব্রান্ডিং করে সেগুলো বাজারজাত করে থাকে। হাতে গোনা দু’চারটা প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে এই কাজগুলো করলেও বেশির ভাগই অবৈধ। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগের উদ্যোক্তাই বিভিন্ন নামী-দামি কীটনাশক কোম্পানিতে কর্মরত। কৃষি বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও এসবের নেপথ্যের কুশিলব হিসেবে কাজ করে থাকে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গত জানুয়ারি মাসে শেরপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি নকল ও ভেজাল সার ও কীটনাশক তথাকথিত প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৩০ বস্তা ভেজাল সার ও বিপুল পরিমানে রাসায়নিক উদ্ধার করে। এখানে গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকরা জানায়, জাকির হোসেন মিন্টু নামে এক ব্যক্তি এই কারবারের মুল হোতা। ওই ব্যক্তি একটি কীটনাশক বিপনন কোম্পানির সাথে জড়িত। এসব অবৈধ কারবারিদের কারণে উৎপাদক চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দু’নম্বরী কারবারিরা কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা কীটনাশক উৎপাদক সংস্থার সভাপতি দীলিপ কুমারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাদের সংগঠনের সেক্রেটারি মোস্তফা সাদিকের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। এরপর সেক্রেটারির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বগুড়া জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের ডিডি দুলাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুুমোদন দেয়া হয় খামারবাড়ি অফিস থেকে। তবে স্থানীয়ভাবে দায়িত্বশীল কৃষি কর্মকর্তাগণও সুপারভিশন করে থাকেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন