ভোলায় বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা ও নেতা-কর্মীদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি করে আহত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোলা জেলা বিএনপি।
রবিবার (৩১জুলাই) দুপুরে জেলা বিএনপি'র সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরের বাসভবনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের অহেতুক হামলা গুলিবর্ষণ করে দলীয় কর্মীকে আহত ও হত্যা করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী গ্যাস ও বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন ভোলা জেলা বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় সকালে দলীয় কার্যালয় জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাস্তায় নামতে না নামতেই কোন কারন ছাড়া মিছিলের উপর পুলিশ অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। পুলিশের পক্ষ থেকে মুহুর্মুহু টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটের আঘাতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম নামে এক কর্মী নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় শতাধিক নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম সহ ৮ কর্মীকে বরিশাল শেবাচিমে নেয়া হয়। সেখানে ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে তাকে ঢাকা রেফার করা হয়।
এছাড়া বহু নেতাকর্মী আহত অবস্থায় পুলিশের ভয়ে বাসা বাড়িতে পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কি কারনে কেনো এই বর্বরতা বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর নিশ্চিত তা করে আমরা কেউই বলতে পারছিনা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভোলায় এমন কোন পরিস্থিতি হয়নি যেখানে পুলিশ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড করতে পারে। কার ইশারায় কোন ইশারায় পুলিশ কেন কি কারণে এ ধরনের হামলা চালিয়েছে নেতাকর্মীদের উপর তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের জন্য সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। তা না হলে আগামী দিনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ট্রুম্যান , সহ-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আল আমিন সহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ভোলার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন সরদার বলেন, বিএনপি'র নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন কিছু উশৃংখল নেতাকর্মীরা রাস্তায় জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত সহ ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় বিএনপির মিছিলের মধ্যে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এমনকি তাদের গুলিতেই তাদেরই বহু নেতাকর্মী আহত ও একজন নিহত হওয়ার খবর আমরা জানতে পাই। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন