কুলাউড়ায় নীজ কন্যা সন্তানকে খুন করে অন্যদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন পিতা দিগন্দ নম নিজে। কিন্তু তার এই সফল চেষ্টা ব্যর্থ করেছে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে পিতা দিগন্দ নিজেই মেয়ের একজন কিলার খুনী।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে কুলাউড়া থানার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের কামাল মাস্টারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হবিগঞ্জ জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার গুমগুমিয়া গ্রামের দিগিন্দ নম (৩৫) এর প্রতিবন্ধী মেয়ে পপি সরকার (১২) এর মৃতদেহ ভাড়াটিয়া বসত ঘরের পাশে গলায় ওড়না দিয়ে গিট দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পপির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে ওইদিন পপির পিতা নিজেই বাদী হয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী সুরমান মিয়া ও কাজল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের একটি চৌকস টিম মামলার রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে বিস্কুটের একটি প্যাকেটের সূত্র ধরে পপি সরকারের আসল খুনী তার আপন বাবাকে সনাক্ত সক্ষম হয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুছ ছালেক জানান, দিগিন্দ নম তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার মেয়েকে নির্মমভাবে খুন করে। একটি বিস্কুটের প্যাকেট তার মেয়ের বসত ঘরের পাশের জানালার সামনে বারান্দায় ঝুলাইয়া রেখে মেয়েকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখানোর নাটক সাজায়। পিতা দিগিন্দ নমকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে জানায় যে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৪ টা সময় তার মেয়ে পপি সরকার মৃগী রোগে আক্রান্ত হইলে সে নিজেই তার মেয়ের গলায় ওড়না পেচাইয়া শ্বাসরুদ্ধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ তার বসত ঘরের গাছ বাগানের নীচে ফেলে আসে। ঘটনার পর দিগিন্দ পুনরায় তাহার রুমে এসে শুয়ে থাকে। হত্যার ঘটনা সাজাইয়া পরের দিন সকালে তার মেয়ের লাশ গাছ বাগানে পাওয়া গিয়াছে বলিয়া সে নিজেই বাড়ীর মালিক কামাল মাস্টার ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ আশপাশের লোকজনদের জানায়। দিগিন্দ নম ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার আদালতে মেয়ে পপি সরকারকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন