বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম আসরের শিরোপা জয়ী উরুগুয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৫০ সালে, মারাকানা ট্র্যাজেডির জন্ম দিয়ে। তারপর পেরিয়ে গেছে ৭২ বছর, শিরোপার স্বাদ মেলেনি আর। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাতার অভিযান শুরু করবে তারা। আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে আজ ‘এইচ’ গ্রæপের ম্যাচে লড়বে উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে খেলা।
ইতিহাসে পার্থক্য থাকলেও অভিজ্ঞতায় অনেকটাই কাছাকাছি দল দুটো। ১৪তম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে উরুগুয়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার এটি ১১তম বিশ্বকাপ, টানা দশম আসর। বিশ্বকাপের সবশেষ তিন আসরেই নকআউট পর্বে উঠেছে উরুগুয়ে। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলেছে তারা। অন্যদিকে, গত দুই আসরে গ্রæপ পর্বই পেরোতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ সাফল্য সেমি-ফাইনাল। ২০০২ সালে ঘরের মাঠের আসরে শেষ চারে জার্মানির বিপক্ষে হেরেছিল তারা। চলতি শতকে উরুগুয়ের সর্বোচ্চ সাফল্যও সেমিতে খেলা। ২০১০ সালের আসরে শেষ চারে উঠেছিল তারা। নিজেদের সবশেষ সাত বিশ্বকাপের ছয়টিতে প্রথম ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয়েছে উরুগুয়ে। এর মধ্যে ড্র করেছে তিনটি, হেরেছে তিনটি। তবে ২০১৮ সালের আসরে গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে কোনো গোল হজম না করে সব ম্যাচ জিতেছিল তারা।
বিশ্বকাপের গত দুই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিততে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া (একটি করে হার ও ড্র)। সব মিলিয়ে সবশেষ ৯ ম্যাচে তাদের জয় ¯্রফে দুটিতে। বাকি সাত ম্যাচে হার পাঁচটি, ড্র দুটি। বিশ্বকাপে তাদের সবশেষ জয় জার্মানির বিপক্ষে। ২০১৮ সালের আসরে তখনকার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল এশিয়ান দেশটি। এখন পর্যন্ত আট বার মুখোমুখি হয়েছে উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্যে ১৯৯০ ও ২০১০ সালে বিশ্বকাপের দুই ম্যাচসহ ছয়টি জিতেছে উরুগুয়ে। ড্র হয়েছে এক ম্যাচ। ২০১৮ সালে দুই দলের সবশেষ দেখায় উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের একমাত্র জয় পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন