প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যোগ করা সময়ে লক্ষ্যে রইল প্রথম শট! দ্বিতীয়ার্ধে একটু সময়ের জন্য গা ঝাড়া দিল দুই দল। তা মিলিয়ে যেতেও খুব একটা সময় লাগল না। ফের রক্ষণেই বেশি মনোযোগ দিল ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো। মিলল না গোলের দেখা। আর তাতে গতকাল আল বাইত স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রæপের ম্যাচটি গোলশ‚ন্য ড্র হয়েছে।
বল দখলে বেশ এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে গোলের জন্য শট নেওয়া ও লক্ষ্যে রাখায় দুই দলই সমানে-সমান। ৭টি করে শট নিয়ে কেবল দুটি করে রাখতে পারে লক্ষ্যে। খুব বেশি সুযোগ মিলছে না, এমন ম্যাচে ফিনিশিংয়ে যে কার্যকারিতা প্রয়োজন ছিল, তা দেখাতে পারেনি কোনো দলই। ফরোয়ার্ডদেরও বেশিভাগ সময়ে দেখা গেছে রক্ষণে সহায়তা করতে।
ম্যাচের আগে মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সৌদি আরবের জয় থেকে অনুপ্রাণিত তারা। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে চমকে দিতে চান ক্রোয়াটদের। জিততে না পারলেও এই ড্র কম বড় প্রাপ্তি নয় মরক্কোর জন্য। গোল করা গেলে ভালো, কিন্তু হজম করা যাবে না- দুই দল যেন নেমেছিল এই ভাবনা নিয়ে। তাই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ হলো না। ম‚লত প্রতি-আক্রমণ দিয়ে চলল প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা।
প্রথম ৪৫ মিনিটে লক্ষ্যে থাকল না একটাও শট। গোলের সত্যিকারের সুযোগ প্রথম এলো যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে। বোর্না সোসার চমৎকার ক্রসে পা ছোঁয়ান নিকোলা ভøাসিচ। তবে পার করতে পারেননি ইয়াসিন বোনোকে। কোনোমতে জাল অক্ষত রাখেন মরক্কো গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ছিল খুবই মন্থর। এর মধ্যেই হুট করে একটা সুযোগ এসে যায় নুসে মাসাওয়ির সামনে। ৪৯তম মিনিটে বায়ার্ন মিউনিখে খেলা মরক্কোর এই ডিফেন্ডারের হেড ঠেকিয়ে দেন দমিনিক লিভাকভিচ। পরের মিনিটে কর্নার থেকে এগিয়ে যেতে পারত ক্রোয়েশিয়া। তবে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন সোফিয়ান আমরাবাত। ৬৪তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির বুলেট গতির ফ্রি কিক শক্তিশালী পাঞ্চে ব্যর্থ করে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক।
লুকা মদ্রিচের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে ৭২তম মিনিটে বিপদ হতেই পারতো। কিন্তু ইউসুফ এন-নেসিরি কোনোমতে বিপদমুক্ত করেন। দুই মিনিট পর প্রতি-আক্রমণে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে গিয়ে আব্দে ইজ্জাজুলি নিয়ন্ত্রণ হারালে বেঁচে যায় ক্রোয়েশিয়া। শেষ দিকে আক্রমণে মনোযোগী হয় দুই দলই। তবে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। নিষ্প্রাণ ড্র’য়ে শেষ হয় ম্যাচ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন