কাতার বিশ্বকাপ চারদিনের মাঝেই দেখে ফেললো সব কিছুই। অঘটন, টান টান উত্তেজনার ম্যাচ, গোলশূন্য ম্যাড়মেড়ে ড্র আর গতরাতে গোলবন্যা। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে এদিন ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে স্পেন ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে কোস্টা রিকাকে। বিশ্বকাপে এটাই স্প্যানিশদের সবচেয়ে বড় জয়। অথচ স্পেন বস লুই এনরিক একাদশ সাজিয়েছিলেন মোরাতা ও ফাতির মত ফুটবলারদের একাদশের বাহিরে রেখে। তাহলে গোল আসবে কিভাবে? স্প্যানের সমর্থকরা হয়তো সেই ভাবনায় মশগুল ছিলেন। তবে দানি ওলমো বেশিক্ষণ আর দুশ্চিন্তায় রাখেননি সমর্থকদের। ম্যাচের বয়স দুই অংকে যাওয়ার আগেই। এরপর প্রথামার্ধেই আরও ২ গোল দিল স্প্যানিশরা। আর ম্যাচ শেষ হলো ৭-০ ব্যবধানে। কোস্তারিকা গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের অসহায়ত্বে হয়ে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ বিশ্বকাপের মঞ্চে ৬-১ ব্যবধানে জিতেছিল লা-রোজারা। সেই রেকর্ড ভেঙে এদিন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ৭ গোল দিল স্পেন। জোড়া গোল করেন ফেররান তরেস। একটি করে দানি ওলমো, মার্কো আসেনসিও, গাভি, কার্লোস সলের ও মোরাতা।
খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণের বনব্যা শুরু হয়ে যায় এনরিক শিষ্যদের! আক্ষরিক অর্থে প্রথম মিনিট থেকে যেন ঝাঁপিয়ে পড়ল স্পেন। পঞ্চম মিনিটে পেয়ে গেল প্রথম ভালো সুযোগ। পেদ্রির কাছ থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্টে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারলেন না অরক্ষিত ওলমো। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে চমৎকার চিপে গাভি খুঁজে নিলেন ওলমোকে। প্রথম স্পর্শে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, এগিয়ে আসা গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে এড়িয়ে জাল খুঁজে নিলেন তিনি। ম্যাচের ২১তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলল স্পেন। জর্দি আলবা বাড়ান আসেনসিওকে। পেনাল্টি থেকে ৩১তম মিনিটে গোলটি করেন তরেস।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে আবারও তোরেসের গোল। অভিষেক বিশ্বকাপে স্পেনের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে জোড়া গোল করলেন এই দলের ম্যানেজার এনরিকের মেয়ের সাথে ডেট করা এই ফুটবলার। চার গোল হজমের পরও রক্ষণভাগ শক্ত রাখতে পারেনি কোস্টারিকা। খেলার ৭৪ মিনিটে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান তরুণ গাভি। আর নির্ধারিত সমইয়ের একদম শেষ মিনিটে মিনিটে কার্লোস সোলের গোলে স্পেনের স্কোর দাড়ায় ৬-০তে। অতিরিক্ত সময়ে কোস্টারিকার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন বদলি স্ট্রাইকার মোরাতা। রেকর্ড জয়ের উৎসবে মাঠ ছাড়ে স্পেন দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন