কাতার বিশ্বকাপ বেশ অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। অবতারণ হচ্ছে এমন কিছু বিষয়ের, যার সঙ্গে ভক্তরা প্রায় একেবারে অপরিচিত। যেমন, অতিমাত্রায় অতিরিক্ত সময় দেওয়া! সাধারণত দুই অর্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিট শেষে কিছু সময় বাড়তি দেওয়া হয়। হতে পারে কয়েক মিনিট। সেটা হতে পারে এক সংখ্যার। কিন্তু এবার দুই সংখ্যার যোগ করা সময়, তাও একাধিক ম্যাচে, আগে কখনও যা দেখেনি ফুটবল ভক্তরা।
চলতি আসরে ইংল্যান্ড বনাম ইরানের ম্যাচে দর্শকরা দেখেছে মূল সময়ের চেয়ে ২৭ মিনিট বেশি খেলা হতে। প্রথমার্ধ শেষে ১৪ মিনিট, দ্বিতীয়ার্ধে ১৩ মিনিট! ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১১৭ মিনিটে গিয়ে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বনাম ওয়েলসের খেলায় দুই অর্ধে ২০ মিনিট বাড়তি খেলা হয়! সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হচ্ছে, গ্রুপ পর্বের প্রথম ২৫ ম্যাচের ২০টিতেই ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছিল কমপক্ষে ১০০ মিনিট!
কেনো এমন করছে রেফারিরা, জানার কৌতূহল জেগেছে নিশ্চয়ই। ফিফার নতুন নিয়মে যতক্ষণ সময় খেলা বন্ধ থাকবে, ততক্ষণ পুষিয়ে দিতে হবে অতিরিক্ত সময় যোগ করে। ফুটবলে খেলোয়াড় বদল হয়, ফুটবলাররা চোটে পড়েন, গোল উদযাপন করেন, রেফারির ভিডিও রিভিউ দেখাসহ বিভিন্ন কারণে সময় নষ্ট হয়।
বাস্কেটবল ও হকিতে দেখা যায় খেলা যখন বন্ধ থাকে, রেফারির ঘড়িও বন্ধ। কিন্তু ফুটবলে তেমন সুবিধা নেই বিধায় এখন থেকে খেলা যতক্ষণ বন্ধ থাকবে, সেই সময়টুকু যুক্ত হবে মূল সময়ের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের 'ল অব দ্য গেম' অনুযায়ী, খেলার মাঠে যেটুকু সময় ঘড়িতে বিঘ্ন ঘটাবে, সেটুকু সময় দলগুলোকে খেলতে দিতে হবে।
তাই এখন থেকে গড় হিসাব করে রেফারি অতিরিক্ত সময় দিতে পারবে না। এতে দলগুলো ফিরে আসার একটা সুযোগ পাবে। যেভাবে চলতি বিশ্বকাপে সময় যুক্ত হচ্ছে, তাতে ভক্তদের রোমাঞ্চ বাড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন