শেষ ষোলোতে যেতে জয়ের বিকল্প ছিল না বেলজিয়ামের। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ডি ব্রুইনা-লুকাকুরা। গতরাতে আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশ‚ন্য ড্র করায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্ম। অন্যদিকে একই সময় হওয়া দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল মরক্কো। আফ্রিকার দলটি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোনো আসরে পেল একাধিক জয়। ক্রোয়েশিয়া, বেলজিয়ামের মতো দেশকে টপকে গ্রুপ সেরা হয়েই গেল পরের রাউন্ডে।
ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়ামের প্রথমার্ধের লড়াই ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। কোন দলই লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জমে যায় খেলা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ম্যাচে ছিল দারুণ উত্তেজনা। ভাগ্য খারাপ বেলজিয়ামের। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে দলটি। বিশেষ করে তারকা স্ট্রাইকার লুকাকু মিস করেছেন বেশকটি সুযোগ। রক্ষণ সামলে আক্রমণ করেছে ক্রোয়েশিয়াও। কিন্তু কাজে আসেনি কোনটি। বেলজিয়াম দলের উল্লেখযোগ্য খেলয়াড়রা ২০১২ থেকে একসাথে খেলছে, তারপ‚র্বে বয়সভিত্তিক দলে। কিন্তু বহু নামী-ভারী ফুটবলার নিয়েও বেলজিয়ামকে কোন সাফল্য এনে দিতে পারেন নি কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।
অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে এই বেলজিয়ামকে হারিয়েই চমক দিয়েছিল মরোক্কো। সেই ম্যাচেই তাদের নক-আউটে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। শেষ ম্যাচে কানাডাকে হারাতে হত তাদের। সেটাই করলেন জিয়েস-হাকিমিরা। খেলার শুরুতেই আক্রমণের ঝড় তোলে মরক্কো। ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মরক্কোর অন্যতম সেরা ফুটবলার হাকিম জিয়েচ। ঠিক তার ১৯ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ায় মরক্কো। এ বার গোল করেন ইউসুফ। গেল। কানাডা ৪০তম মিনিটে এক গোল শধ দিলেও ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেনি শেষ পর্যন্ত। এর আগে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে উঠেছিল মরক্কো। সেটাই ছিল প্রথম ও শেষ বার। ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রæপ সেরা হয়েছে মরোক্কো। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট ছিল ৫ আর বেলজিয়ামের সংগ্রহ ৪। মরোক্কো খেলবে গ্রুপ ই’র চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে, অন্যদিকে ক্রোয়েটদের প্রতিপক্ষে ই গ্রুপের রানার্সা-আপ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন