বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

উরুগুয়েকে কাঁদিয়ে শেষ ষোলতে দক্ষিণ কোরিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

একটা কথা ইউরোপে প্রচলিত আছে, পর্তুগালের ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তাদের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের ট্যাকটিক্স ও পক্ষপাতদুষ্ট খেলোয়াড় নির্বাচন। গতকালও হলো তাই। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ‘এইচ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে, সান্তোসের সেই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই রোমাঞ্চকর জয়ে কোরিয়ানরা কেবল শেষ ষোলতে পদার্পন করলো না। একই সঙ্গে নিশ্চিত করলো সাবেক চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিদায়। অন্যদিকে পাওলো বেন্তোর কোরিয়ার কাছে হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
ম্যাচের তখন অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে তখন। প্রতি আক্রমণ থেকে বল নিয়ে সন হিউং-মিন যখন ছুটছিলেন, একবারও মনে হয়নি আসলেই গোল হবে। আশপাশে তিনজন পর্তুগালের ফুটবলার। অন্যদিকে সনের কাছাকাছি নেই কোনো সতীর্থ। সন তবু হাল ছাড়েননি। একদম বক্স পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন বল। বক্সের সামনে এসে বাঁ দিকে এক সতীর্থকে খুঁজে পেলেন। উইলিয়াম কার্ভালহো ছাড়াও সনের সামনে থাকা দুই পর্তুগীজ ব্যর্থ সনের থ্রু বল আটকাতে। হোয়াং লি-চান বলটা রিসিভ করলেন। এক মুহুর্ত নিয়ে শট, গোল! ২-১ গোলে এগিয়ে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। সে গোলই দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে গেল শেষ ষোলোতে। পর্তুগালের সঙ্গে নকআউট পর্বে উঠেছে সনদের দক্ষিণ কোরিয়াই। ম্যাচের ৫ মিনিটেই রিকার্ডো হোর্তার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পর্তুগাল। আর কোরিয়াকে সমতায় ফিরিয়েছিল কিম ইয়ং-গোনের।
সন-রোনালদোদের ম্যাচ শেষ হলেও, ওদিকে তখনো মাত্র ৯০ মিনিট শেষ হয়েছে উরুগুয়ে-ঘানা ম্যাচের। আরও ৮ মিনিট যোগ করা হলো সে ম্যাচে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়েরা বুনো আনন্দে মাততেও পারছিলেন না। উরুগুয়ে এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। গোল ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে থাকলেও গোল সংখ্যা পিছিয়ে দলটি। পরের ৯ মিনিট আপ্রাণ চেষ্টা করেও গোল বের করতে পারেনি কাভানিরা।
আল ওয়াকরার আল জানোব স্টেডিয়ামে একই গ্রুপের এই ম্যাচটি ঘিরেই যে আগ্রহ ছিল সবার। ২০১০ বিশ্বকাপে সর্বশেষ দেখায় শেষ মুহূর্তে হাত দিয়ে গোল আটকেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। সেই কারণে ঘানার চোখে এখনো সবচেয়ে ঘৃণিত ফুটবলার হয়ে আছেন তিনি। ম্যাচের আগে এ প্রসঙ্গে সুয়ারেজ বলেছিলেন, তিনি তার শাস্তি পেয়েছিলেন। এদিন ১৭ মিনিটে সেই পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল ঘানা। বর্তমান অধিনায়ক আন্দ্রে আইয়ু যে পূর্বসূরি জিয়ানের মতোই মিস করলেন পেনাল্টি। অন্যদিকে ২৬ ও ৩২ মিনিটে দুই গোল করে ঘানার কষ্ট বাড়িয়েছেন উরুগুয়ের আরাসকেতা। দুই গোলেই অবদান সুয়ারেজের। এবার সেই সুয়োরেজের কান্নাতেই শেষ হলো উরুগুয়ের বিশ^কাপ যাত্রা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন