কোস্টারিকাকে ৭ গোলে উড়িয়ে আসর শুরু করেছিল স্পেন। সেই কোস্টারিকার সঙ্গে পরবর্তীতে হারায় জার্মানিকে হারানো জাপান। গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্পেনের জেতার পক্ষেই ছিল সহজ বাজি। সবাইকে অবাক করে স্পেন হেরে যায় জাপানের কাছে। গোল-গড়ে এগিয়ে থাকার সুবিধায় তারা উঠে যায় নকআউটে।
তবে দ্বিতীয় সেরা হয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত একটি সহজ রাস্তা পেয়ে গেছে স্প্যানিশরা। প্রশ্ন উঠছে এমন ফলে দিনশেষে লাভই হলো কিনা স্পেনের? অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস জানালেন, কোন পথ যে আসলে সহজ তা এখন আর বলা যায় না। গত বৃহস্পতিবার রাতের নাটকীয়তায় একটা পর্যায়ে বিদায় নেয়ার শঙ্কাতেও ছিল স্পেন। জাপানের কাছে নিজেরা ২-১ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় কোস্টারিকাও ২-১ গোলে এগিয়ে আছে জার্মানির বিপক্ষে। ফলটা শেষ পর্যন্ত এরকম থেকে গেলে একসঙ্গে বিদায় নিতো স্পেন-জার্মানি! শেষ পর্যন্ত নিজেরা রক্ষা না পেলেও স্পেনকে আসলে বাঁচিয়ে দেয় জার্মানি।
কোস্টারিকার জালে আরও তিন গোল দিয়ে ম্যাচ জেতে ৪-২ গোলে।
স্পেনের সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল-গড়ে পিছিয়ে তাদের নিতে হয় বিদায়। এই ম্যাচ হারায় দ্বিতীয় রাউন্ডে মরক্কোকে পাচ্ছে স্পেন। গ্রুপসেরা হলে তাদের দেখা হতো গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে। কেবল এতেই নয়, পরের ধাপেও আছে সহজ হিসাব স্পেনের। ব্রাজিল নিজেদের গ্রুপে সেরা হলে, এবং দ্বিতীয় রাউন্ডেও জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা মিলতো ব্রাজিলের।
স্পেনের দ্বিতীয় হওয়ায় সেই সম্ভাবনা শেষ। সেমিফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত সহজ পথ বাছতে হারটা স্পেনের কাছে শাপেবর হয়েছে কিনা এই প্রশ্ন উঠে খেলা শেষে। বুসকেটস তা স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে জানান নিজেদের মত, ‘এটার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা জিততে চেয়েছিলাম ও প্রথম হতে চেয়েছিলাম। আমরা ব্র্যাকেটের অন্য পাশে চলে গেছি। কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যায় না কোন দিকটা সহজ, কোনটা কঠিন।’
ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়ামের গ্রুপ থেকে সবাইকে অবাক করে সেরা হয়েছে মরক্কো। আফ্রিকার দেশটিকে তাই সহজ প্রতিপক্ষ মানতে চান না স্পেন অধিনায়ক, ‘আমরা এটা হতে দিতে চাইনি, আমাদের জেতার অভিসন্ধি ছিল। শেষ ষোলোতে আমরা মরক্কোর বিপক্ষে খেলবো, যা খুবই কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন