কাতার বিশ্বকাপে নতুন নজির। প্রথম বার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে উঠেছে সব মহাদেশের দল। আগে এমন কোনো বিশ্বকাপে হয়নি। এই ঘটনাকে বিশ্ব ফুটবলের সাম্য বলে বর্ণনা করেছেন ফিফার ‘গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচির প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলয় সব মহাদেশের দল যোগ্যতা অর্জন করেছে। এমন ঘটনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বার। সে দিক থেকে নতুন নজির তৈরি করল চলতি বিশ্বকাপ। আর্সেনালের সাবেক কোচ এখন বিশ্বের নতুন প্রজন্মকে ফুটবলে আগ্রহী করার কাজ করেন। সারা বিশ্বে ফুটবলের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা করেন। বিশ্বকাপের শেষ ষোলয় সব মহাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, ফিফার এই প্রকল্পের সাফল্য হিসাবেই দেখছেন ওয়েঙ্গার।
উচ্ছ্বসিত ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলা থেকে বুঝা গেছে, আরো অনেক দেশ সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৈরি। সেই দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছে। ভালো প্রস্তুতি এবং প্রতিপক্ষের খেলার উন্নত বিশ্লেষণের ফলেই সম্ভব হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়েছে। এই বিষয়টা বিশ্বব্যাপী ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফিফার প্রচেষ্টার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ বিশ্বকাপের পর এ বার আবার আফ্রিকার দু’টি দেশ শেষ ষোলয় উঠেছে। এ বার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে সেনেগাল ও মরক্কো। ২০১৪ সালে উঠেছিল আলজেরিয়া ও নাইজেরিয়া। এ ছাড়াও ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়াসহ ফিফার সব মহাদেশের প্রতিনিধিরাই এ বার জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে।
ফুটবল নিয়ে আগ্রহও আগের থেকে বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফিফা। এ বার প্রথম ৪৮টি ম্যাচে দর্শক হয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার। যা স্টেডিয়ামগুলোর মোট আসনের ৯৬ শতাংশ। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের পর এই দর্শক সংখ্যা সর্বোচ্চ। সব থেকে বেশি দর্শক হয়েছিল আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচে। লিওনেল মেসিদের গ্রুপের শেষ ম্যাচ দেখতে লুসাইল স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ৮৮ হাজার ৯৬৬ জন। একটি ম্যাচের দর্শক সংখ্যার নিরিখেও এই সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৯৪ সালে রোজ বোল স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-ইতালি ফাইনাল দেখেছিলেন ৯৪ হাজার ১৯৪ জন দর্শক।
সবে শুরু হয়েছে নক আউট পর্ব। এখনই কাতার বিশ্বকাপের সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা কর্তারা। একাধিক বিতর্ককে দূরে সরিয়ে যে ভাবে বিশ্বকাপ চলছে, তাতে খুশি তারা। সূত্র : আনন্দবাজার
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন