ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ালেন কিলিয়ান এমবাপে। অলিভিয়ে জিরুদের গোলে অবদান রাখার পর তিনি নিজে করলেন চমৎকার দুটি গোল। দুজনেই গড়লেন রেকর্ড। দাপুটে পারফরম্যান্সে পোল্যান্ডকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। গতকাল দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে জিরুদ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেন এমবাপে। পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ থেকে শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে পোল্যান্ডের হারের ব্যবধান কমানো গোলটি করেন রবের্ত লেভান্দোভস্কি।
ম্যাচের শুরুটাই হয়েছে রেকর্ডে। এদিন খেলতে নেমেই ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪২ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী লিলিয়ান থুরামের পাশে বসেন গোলরক্ষক হুগো লরিস। তাদের সামনে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠা পোল্যান্ড ঘর সামলাতেই ব্যস্ত থাকে বেশি। উল্টো ৪৪তম মিনিটে জিরুদের রেকর্ড গড়া গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে চূড়ায় বসলেন জিরুদ। তার মোট গোল হলো ৫২টি। এর মধ্যে তিনটি এবারের বিশ্বকাপে। ৭৪তম মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন এমবাপে। বয়স ২৪ বছর হওয়ার আগে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের তালিকায় পেলেকে (৭) ছাড়িয়ে এককভাবে চূড়ায় বসলেন এমবাপে (৮)। ফাইনালের দুই দিন পর ২৪ বছর পূর্ণ হবে তার। বিশ্ব মঞ্চে সবচেয়ে কম বয়সে আট গোলের রেকর্ডও এখন এমবাপের (২৩ বছর ৩৪৯ দিন)। তিনি ভেঙে দিলেন পর্তুগালের গ্রেট ইউসেবিওর রেকর্ড (২৪ বছর ১৮২ দিন)।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আবারও এমবাপে-জাদু। মার্কাস থুরামের পাসটা বক্সের ভেতর কোনাকুনি জায়গায় পান তিনি। দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে তার ডান পায়ের শটে বল দূরের পোস্ট দিয়ে কাক্সিক্ষত ঠিকানায় পৌঁছায়। স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-০। গত বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের পথে চার গোলের পর চলতি আসরে এমবাপের গোল হলো পাঁচটি। একেবারে শেষ মুহূর্তে ডি-বক্সে ফরাসি ডিফেন্ডার উপেমেকানোর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। লেভান্দোভস্কির স্পট-কিক শুরুতে ঠেকিয়ে দেন লরিস। তবে আগেই লাইন থেকে বেরিয়ে আসায় আবার শট নিতে দেন রেফারি। এবার আর ভুল করেননি পোল্যান্ডের রেকর্ড গোলদাতা। তাতে হারের ব্যবধানই শুধু কমে তাদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন