শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ক্ষ্যাপাটে মেসি ভয়ঙ্কর সুন্দর!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

এমনিতে লিওনেল মেসিকে রাগতে দেখা যায় না। তবে আঁতে ঘা লাগলে মেসিও যে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন, তার বড় উদাহরণ পাওয়া গেল পরশু রাতের ম্যাচই। তবে সেটিও এমনি এমনি নয়। তাকে চিরকালের বিনয়ী মেসিকে যে খুঁচিয়েছেন ডাচ কোচ লুই ফন গাল!
মেসির সঙ্গে ফন গালের লড়াইটা নতুন নয়। সাধারণত যেকোনো ম্যাচের আগে লড়াইটা হয় ফুটবলার বনাম ফুটবলার, কোচের সঙ্গে কোচের। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মেসি বনাম ফন গাল- এমন লড়াইয়ের আবহটা কিন্তু ছিল। ফন গালের মেসিকে আটকে রাখার অতীত রেকর্ডও আছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তখনো নেদারল্যান্ডসের কোচ ফন গালই ছিলেন। তিনি মেসিকে রক্ষণে ঢুকতে না দিয়ে নিচে আটকে রেখেছিলেন। তার পেছনে লাগিয়েছিলেন নাইজেল ডি ইয়ংকে এবং সেটি কার্যকর হয়েছিল। গোটা ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন মেসি। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই কি না, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডাচ কোচ বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনার পায়ে যখন বল থাকে না, মেসি তখন কিছুই করেন না। এটাকেই কাজে লাগাতে চান।’ মেসি কথাটা মোটেই ভালোভাবে নেননি।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এদিন রাতে জাদুকরি ফুটবলের পসরা সাজিয়ে ফন গালের তাকে আটকানোর কৌশল তো ভেঙেছেনই, সঙ্গে ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ফন গালের ওই কথাতে তিনি অপমানিত হয়েছেন, ‘ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফন গালের এ কথায় আমি অপমানিত বোধ করেছি। খেলার সময়েও অনেক ডাচ ফুটবলার বেশি কথা বলেছে। ফন গাল মনে করেন, সে ভালো ফুটবল খেলায়। প্রতিপক্ষের বক্সে ফরোয়ার্ড রেখে লম্বা লম্বা পাস দেওয়ায়। কিন্তু আমরাই সেমিফাইনালে খেলার যোগ্য ছিলাম এবং সেটাই হয়েছে।’
নির্ধারিত সময় ২-২ গোলে সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও সমতায় থাকে দুই দল। সে সময়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটাকে টাইব্রেকারেই নিতে চেয়েছে তারা। এমনটা অবশ্য দাবি করছেন আর্জেন্টিনাকে জেতানোর আরেক নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার দাবি, ফন গাল ফুটবলারদের বলেছেন, আমরা পেনাল্টি হলে এগিয়ে থাকব। টাইব্রেকারে আমরা জিতে যাব। ফন গালের এ কথায় খেপেছেন মার্টিনেজও, ‘আমার মনে হয়, ফন গালের মুখটা বন্ধ রাখা উচিত।’
এখানেই শেষ নয়। টাইব্রেকারে হেরে হতাশায় তখন মুষড়ে পড়েছিলেন ডাচ খেলোয়াড়রা। কেউবা মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন। ঠিক তখন তাদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রিকুয়েলমের মতো দুই কানের পাশে হাত দিয়ে উদযাপন করে নিকোলাস ওতামেন্দি। যেমনটা স্পট-কিক থেকে গোল দিয়ে করেছিলেন অধিনায়ক মেসিও। পরে তার ব্যখায় কারণ বলেছেন ফন গালের সেই খোঁচা। ওতামেন্দি বলেন, ‘আমি মুখে এমন উদযাপন করেছি কারণ নেদারল্যান্ডসের একজন খেলোয়াড় ছিল, যে আমাদের প্রতিটি পেনাল্টিতে এসে আমাদের খেলোয়াড়কে কিছু বলেছিল। যা স্বাভাবিক ছিল না এবং আমরা তার প্রতিক্রিয়ায় এমনটা করেছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন