মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মরোক্কোকে হারিয়ে তৃতীয় ক্রোয়েশিয়া

জাহেদ খোকন | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

কাতার বিশ্বকাপে মরোক্কোকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছে গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। গতকাল কাতারের আল রাইয়ানে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া ২-১ গোলে হারায় এবারের আসরের চমক সৃষ্টিকারী আফ্রিকান দেশ মরোক্কোকে। বিজয়ী দলের হয়ে গোল দুটি করে জসকো জিভার্ডিওল এবং মিস্লাভ ওরসিচ একটি করে গোল করেন। মরোক্কোর পক্ষে একমাত্র গোলটি শোধ দেন আশরাফ দারি।
দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কাল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় দু’দলই। টুর্নামেন্টের শেষ চারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্সের কাছে হার মানে মরোক্কো। তাই সেমিফাইনালিস্ট দুই পরাজিত দলের লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা অনুমেয়ই ছিল। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই ছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা। ফলে গোলটি তিনটি হয় প্রথমার্ধেই।
শুরু থেকে দু’দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও সুযোগ নষ্ট করেছে বেশ ক’টি। যদিও বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই দুর্দান্ত এক হেডে ক্রোয়েটদের এগিয়ে নেন জসকো জিভার্ডিওল। এ সময় বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদ্রিচ বল পেয়ে গোলবারে শট না নিয়ে বক্সের মধ্যেই বাতাসে তা তুল দেন। পোস্টের বাম পাশে হেড করেন ইভান পেরিসিচ। সেখান থেকে ভেসে আসা বলে আবারও হেড করে মরোক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোকে বোকা বানিয়ে গোল করেন জিভার্ডিওল (১-০)। এর দুই মিনিট পর অর্থাৎ ম্যাচের ৯ মিনিটে আবারও গোল। এবার গোল করে ম্যাচে সমতা আনে মরোক্কো। ঠিক একইভাবে। অর্থাৎ হাকিম জিয়েচের ডান পাশ থেকে করা ফ্রি-কিকের বলে দৌড়ে এসে আশরাফ দারি দারুণ এক হেডে ক্রোয়েশিয়ার জাল কাঁপান (১-১)।
ম্যাচে সমতা আসার পর দু’দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেলে অনেকগুলো গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু গোল পায়নি। তবে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মিস্লাভ ওরসিচ গোল করে ফের এগিয়ে নেন ক্রোয়েশিয়াকে। তার শটটি গোলরক্ষক বোনোর মাথার উপর দিয়ে গিয়ে সাইডবারে লেগে জালে প্রবেশ করে (২-১)। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে গোল করে সমতায় ফিরতে মরিয়া ছিল মরোক্কো। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ওরসিচের দুর্দান্ত শট মরোক্কোর ডিফেন্ডার ইয়ামিকের পায়ে লেগে বাইরে না গেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়াতে পারতো ক্রোয়েটরা। তবে বিরতির পর বল দখলের লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল মরোক্কো। দ্বিতীয়ার্ধে মরোক্কোর আক্রমণগুলোর প্রায় সবই বারবার প্রতিহত হচ্ছিল ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ দেয়ালে।
৭৪ মিনিটে জিভার্ডিওলকে ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করে ফেলে দেন আমারাবাত। কিন্তু রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেননি। যদিও পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে রেফারি চাইলে সেটি পেনাল্টি দিতে পারতেন। এর ঠিক ১ মিনিট পরে মরোক্কোর একটি আক্রমণ দুর্দান্ত সেভ করে দলকে ম্যাচে এগিয়ে রাখেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। এসময় এন নাসিরির শট দারুণভাবে রুখে দেন লিভাকোভিচ। ৮৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন স্টানিসিচ। কিন্তু তার বাঁ পায়ের ক্রস চলে যায় প্রতিপক্ষ দলের গোলবার ঘেষে। ম্যাচের শেষের দিকে মরোক্কোর এন নাসিরি লাফিয়ে উঠে হেড করলে বল সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হওয়ায় জয় পেয়ে তৃতীয় স্থানে থেকেই কাতার বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে ক্রোয়েশিয়া। আর চতুর্থ স্থান পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মরোক্কোকে।

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন