ইসলামী ব্যাংক খুলনা শাখার দুই কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে খুলনা সদর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটের আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন ব্যবসায়ি মেহেদী হাসান মিলন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ইসলামী ব্যাংক খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ ইয়াকুব আলী, একই শাখার সিনিয়র অফিসার (বিনিয়োগ) ফজলে রাব্বি, ব্যবসায়ি শাহজাহান জমাদ্দার ও শেখ শফিকুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ব্যবসায়ি মেহেদী হাসান মিলন ২০১৪ সালে ইসলামী ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে তিন লাখ টাকা এইসডিএস ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ গ্রহনের সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জামানত হিসেবে মামলার বাদীর নামীয় মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের (৪৭৬২০) চেক বই থেকে ২৪টি স্বাক্ষর করা পাতা জমা রাখেন। ওই সময় ঋণের জামিনদার হিসেবে ছিলেন ব্যবসায়ি শাহজাহান জমাদ্দার। ২০১৫ সালের ১৭ মে ঋণের টাকা শোধ করার পর ব্যাংকে জিম্মা থাকা চেক বইয়ের পাতা ফেরত চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরানো হয় ঋণ গ্রহিতাকে। পরে তিনি জানতে পারেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইয়াকুব আলী ও সিনিয়র কর্মকর্তা ফজলে রাব্বির সঙ্গে যোগসাজসে ব্যবসায়ি শাহজাহান জমাদ্দার ব্যাংকে জিম্মা থাকা চেকের পাতাগুলি ফেরত নিয়ে গেছেন। ফেরত নেওয়া ওই চেকের একটি পাতায় ১২ লাখ টাকা উল্লেখ করে শাহজাহান জমাদ্দার তার বোন জামাই শেখ শফিকুল ইসলামকে দিয়ে আদালতে মামলা করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে গত ২৭ জুন ব্যবসায়ি মেহেদী হাসান চেকের পাতা ফেরত নিতে পুনরায় ব্যাংকে যান। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি একটি রেজিষ্ট্রার খাতায় চেক বুঝে পেয়েছি লিখে তার পাশে মেহেদী হাসানকে স্বাক্ষর করতে চাপ সৃষ্টি করেন। সেখান থেকে সুকৌশলে তিনি বেরিয়ে আসেন। পরে তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদীর আশংকা ব্যাংকে রক্ষিত চেকের অন্যন্য পাতাগুলি জিম্মি করে তার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন আসামীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন