পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত জেরে বসত বাড়িতে পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরি এলাকার মোজাম্মেল হকের বাড়িতে এই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।এতে ভস্মিভুত হলো ৫ টি পরিবারের ১৪টি ঘর। সর্বহারা হয়ে পড়েছে তারা।এর আগে প্রতিপক্ষের দেয়া মামলার শিকার হয়ে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য ছিল বাড়িটি।
ভুক্তভোগি পরিবারের রাকিব, আলপনা,মনছুরা বলেন, আমাদের জমি অন্যায়ভাবে ভোগ দখল করছে মৃত খাজিম উদ্দিনের ছেলে রশিদুল, জিয়াউর এবং রফিকুলরা। জমি দাবি করলেই হামলা করেন তারা। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশও তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, থানা পুলিশ বিষয়টি সুরাহার কথা না বলে তাদের পক্ষ হয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। নির্বিচারে আমাদের লোকজনকে আটক করে মিথ্যা মামলাও দিয়েছে।সম্প্রতি আমরা জমিতে গেলে পুলিশের নেতৃত্বে আমাদের লাঠিপেটা করে এলাকা ছাড়া করা হয়। একইসঙ্গে বেশকিছু পুরুষ-মহিলা আটক করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়।
সেই মামলার গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া। এই সুযোগে প্রতিপক্ষরা ঘরে আগুন দিয়েছে।তবে আগুন দেয়ার বিষয়ে অস্বীকার করেন জিয়াউর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোজাম্মেল হকসহ তার আরও ৪ ভাইয়ের মোট ১৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে মারা গেছে বাড়ির হাঁস-মুরগিসহ কয়েকটি ছাগল। এছাড়া ছাই হয়েছে ধান, চাল,স্বর্নলংকার, নগদ অর্থ এবং জমাজমি কাগজপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি। রেহাই পায়নি ওই বাড়ির স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ৮ জনের বইসহ সার্টিফিকেট। আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এমন দাবি ভুক্তভোগিদের।
এদিকে ঘটনার পর বুধবার সকালে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িটিতে পরিদর্শনে যান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল হক। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার এবং অর্থসহায়তা দেন। বসত ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।
পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন