বিষয়বস্তুর প্রতি সততা আর উদ্দেশ্য যদি সঠিক হয় তাতে যে বিস্ময়কর ফল পাওয়া যেতে পারে। আর এজন্য নির্মাতাকে মন খুলে গল্পটি উপস্থাপনা করতে হবে। আর যত রকম রোমাঞ্চকর মুহূর্ত সম্ভব তা বাস্তব ঢঙে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে হবে। আমীর খান পারেন তা করতে। চলচ্চিত্রায়নের প্রাক-নির্মাণ, নির্মাণ আর নির্মাণোত্তর প্রক্রিয়ার তিনি সংশ্লিষ্ট থাকেন সক্রিয়ভাবে। এটাই তার সাফল্যের সূত্র। এতে তিনি এ যাবত ব্যর্থ হননি।
‘দাঙ্গাল’ ফিল্মটির প্রথম দিনের আয় দেখে সবাই শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল যে চলচ্চিত্রটি সব আমীর প্রযোজিত আর অভিনীত চলচ্চিত্রের সাফল্য দেখবে না। তা তো সত্য হয়নি তা পরের দুদিনে আয়ে স্পষ্ট হয়েছে। এমনকি দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে চলচ্চিত্রটি আয় করেছে ৫৫.১১ কোটি রুপি; অনেক সুপারহিট ফিল্মও এই পর্যায়ে এই আয় করে না। প্রথম সপ্তাহে চলচ্চিত্রটি আয় করেছে ২১৬.১৬ কোটি রুপি। দ্বিতীয় সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবারের আয় ছিল যথাক্রমে ১৩.৪৫ কোটি রুপি, ১০.৫৪ কোটি রুপি এবং ৯.৫ কোটি রুপি। তারমানে দ্বিতীয় বুধবারের আয়ে চলচ্চিত্রটি ৩০০ কোটি ক্লাবের সদস্য হয়েছে। এর ফলে ‘দাঙ্গাল’ বছরের সফলতম চলচ্চিত্র ‘সুলতান’-এর (৩০০.৪৫ কোটি রুপি) মোট আয়কে ছাড়িয়ে গেল। সর্বকালের সফলতম চলচ্চিত্রের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এলো। এর আগে আছে ‘পিকে’ (৩৩৯.৫ কোটি রুপি) এবং ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ (৩২০.৩৪)।
এই সপ্তাহেও বড় কোনও ফিল্ম মুক্তি পাচ্ছে না, সুতরাং এই ধারায় ‘দাঙ্গাল’ যদি ‘পিকে’র পর স্থান পায় বা সেটিকে ছাড়িয়ে যায় তাতে বিস্ময়ের কিছু হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন