বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদিগন্ত

২০১৬ : হারানো শক্তি ফিরে পায়নি বিএনপি

| প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহিউদ্দিন খান মোহন : ২০১৬ সালটি গত হয়েছে। অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে অতীতের সারিতে স্থান করে নিয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর সূর্যাস্তের সাথে সাথে। এখন চলছে গত বছরটি নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ। প্রত্যাশা-প্রাপ্তির ব্যালেন্স শিট মেলাতে ব্যস্ত সবাই। রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয় আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, মোট কথা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ২০১৬ সাল কী দিয়ে গেল বা কী নিয়ে গেল তারই চুলচেরা বিশ্লেষণে রত হয়েছেন অনেকে। বিশেষত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলিই প্রায় সবার হিসাব-নিকাশের খাতায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে। বলে নেয়া দরকার, আমাদের দেশে রাজনীতিই অন্যসব বিষয়ের মূল উৎস বলে মনে করা হয়। অর্থনীতির সঙ্গে যেমন রাজনীতির সম্পর্ক, আবার সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতিতেও রাজনীতির প্রভাব অনস্বীকার্য। ফলে সামগ্রিক কোনো আলোচনায় বসলে রাজনীতিই হয়ে উঠে মূল আলোচ্য বিষয়।
গত কয়েক বছরের মধ্যে সদ্য গত হওয়া ২০১৬ সালটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কিছুটা স্থিতিশীল, নিস্তরঙ্গ কিংবা দৃশ্যত শান্ত ছিল বলে ধরে নেয়া যায়। ২০১৫ সালটি যেমন চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, সন্ত্রাস, আর অস্বস্তিকর পরিবেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, ২০১৬ তেমনটি ছিল না। বিশেষত ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে ওই বছরের (২০১৫) শুরুতেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, গত বছর তা হয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দল আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল, সমাবেশের অনুমতি না দেয়া এবং বেগম খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখায় ২০১৫ সালে সৃষ্টি হয়েছিল চরম অস্থির পরিবেশ। গত বছর ৫ জানুয়ারিতে সমাবেশের জন্য সরকার বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান না দিলেও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয়ায় পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে গড়ায়নি। এক্ষেত্রে সরকার যেমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, তেমনি বিএনপিও সংযত থেকে সুবিবেচনা প্রসূত কাজ করেছে। যদিও অনেকেই মনে করেন যে, ২০১৫ সালের ‘লাগাতার অবরোধ’ কর্মসূচি থেকে আহরিত অভিজ্ঞতা বিএনপিকে সংযত থাকতে বাধ্য করেছে। ওই আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি এখনো রাজপথে হরতাল-অবরোধের মতো সংঘাত সৃষ্টিকারী কর্মসূচি গ্রহণ থেকে বিরত থাকছে।
বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক সংঘাত না ঘটলেও ২০১৬ সালে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মাঝে-মধ্যে যে উত্তেজনার দমকা হাওয়া বয়ে যায়নি তা কিন্তু নয়। বিশেষত বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি না দেয়াকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও বিএনপিকে শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তবে, তারা একটি ভালো কাউন্সিল অধিবেশন করতে সক্ষম হয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও। এরপর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি সরকার। এটা নিয়েও মৃদু উত্তাপ ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষত বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘সমাবেশ করবই’ বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর সরকারি দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ‘জলপাই পাতা’ নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জনমনে কিঞ্চিত শঙ্কা জাগিয়েছিল বৈকি! তবে অভিজ্ঞজনরা পূর্বাহ্নেই অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, বিএনপির ওইসব ‘হম্বিতম্বি’ শূন্যে তলোয়ার ঘোরানো ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা সরকারের অনুমতি না পেলে কোনো কিছুই করবে না। রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করছেন গত বছর দেশে যে কোনো রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ হয়নি, তার পুরো কৃতিত্ব বিএনপির। কারণ, সরকারের দমননীতি, একগুঁয়েমি, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ, কর্তৃত্ববাদী শাসন ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিএনপি রাজপথে নামেনি বলেই পরিস্থিতি শান্ত ছিল। নইলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত এবং সংঘাতপূর্ণ হয়ে ওঠার মতো অনেক উপাদানই ছড়িয়ে দিয়েছিল শাসক দল আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি নিজেদের শক্তি সামর্থ্য সম্বন্ধে সম্যক ওয়াকিবহাল থাকায় সে পথে না হেঁটে নিজেদেরকে ‘সুবোধ বালক’ হিসেবে পরিচিত করেছে।
রাজনীতির সালতামামি করতে গিয়ে দেশের পত্রিকাগুলো বিএনপির ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে বেশি। পত্রিকাগুলোর বেশির ভাগই এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে যে, ২০১৬ সালের কর্মকা-ের মাধ্যমে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৫ এর অবিবেচনাপ্রসূত লাগাতার অবরোধের মতো কর্মসূচি এবং তাতে শোচনীয় ব্যর্থতার পর দলটি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ওই কর্মসূচি বিএনপির জন্য কোনো ইতিবাচক ফল তো বয়ে আনেইনি, উল্টো দলটিকে বিপর্যয়ের মুখেই ঠেলে দিয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ উদ্যোগী হয়ে যদি বিএনপিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ না করতেন, তাহলে সর্বনাশা ওই ‘লাগাতার অবরোধ’ দলটিকে কোথায় নিয়ে যেত অনুমান করা কষ্টকর। ওই অপরিণামদর্শী কর্মসূচির কারণে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী সরকারের দায়ের করা মামলার আসামি হয়ে কেউ আছে কারাগারে, আর কেউ বাড়িঘর ছেড়ে ফেরারি জীবনযাপন করছে। ফলে দলটি হয়ে পড়েছে হীনবল। এই শক্তিহীনতা কাটানোর একটি বড় সুযোগ তারা নিজেরাই তৈরি করেছিল ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে। একমাত্র স্থান বরাদ্দ নিয়ে টালবাহানা ছাড়া সরকার বিএনপির ওই কাউন্সিলে দৃশ্যমান কোনো বাধা দেয়নি। ফলে কাউন্সিলকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল। সবাই আশা করেছিলেন, কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে বিএনপি আবার নতুনভাবে পথচলা শুরু করবে। এমনকি বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারাও বলেছিলেন, ষষ্ঠ কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সে রকম উঠে দাঁড়ানোর কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের প্রত্যাশা ছিল কাউন্সিলের পর একটি শক্তিশালী ও কর্মক্ষম কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে, যা দলটিকে রাজনীতির রাজপথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করবে। বলাই বাহুল্য, আশাবাদীদের সে আশার গুড়ে এক রাশ বালি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উপদেষ্টা ম-লীসহ ৫৯২ জনের যে কমিটি ঘোষিত হয়েছে কাউন্সিলের সাড়ে চার মাস পর, তাতে দলটির শুভ্যার্থীরা আশাহত হয়েছেন, ক্ষুব্ধ হয়েছেন দলটির জন্য জীবনের সোনালী সময়গুলো ব্যয় করা নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। কমিটি ঘোষণার পরপরই বেশ কয়েকজন নেতা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন, আবার অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। ফলে ষষ্ঠ কাউন্সিল ও নতুন কমিটি বিএনপির পথচলায় তেমন কোনো গতিবেগ সৃষ্টি করতে পারেনি।
বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও আলোচিত সিদ্ধান্ত ছিল ‘এক নেতার এক পদ’ বিধান গঠনতন্ত্র সংযোজন এবং বাস্তবায়ন। কিন্তু তা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। দুই ডজন নেতা কেন্দ্র এবং স্থানীয় উভয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন। উপরন্তু অতি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে কয়েকটি জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে নতুনভাবে। ফলে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এ প্রসঙ্গে অনেকেই কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক পদটির কথা বলে থাকেন। তারা বলেন, বিএনপি এমনই একটি রাজনৈতিক দল যার কোনো দফতর সম্পাদক নেই। দফতর সম্পাদক ছাড়া একটি রাজনৈতিক দলের দাফতরিক কাজ কীভাবে চলে এ প্রশ্ন রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিদের। বিশেষ একজন ব্যক্তি ছাড়া বিএনপিতে দফতর চালানোর মতো কী একজন লোকও নেই? দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি যদি দফতর নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে ‘রাজনৈতিক’ কর্মকা-ে সময় দেবেন কখন?
২০১৫ সালের ৯ আগস্ট বিএনপি তৃণমূল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নির্দেশনা জারি করেছিলেন। জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর। তারপর এক বছর তিন মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। ৭৫টি জেলা কমিটির (মহানগরসহ) মধ্যে মাত্র ২২টির সম্মেলন বা কমিটি গঠন সম্পন্ন করতে পেরেছে দলটি। তাও আবার অধিকাংশই ঢাকায় বসে ঘোষণা দেয়া। সরকারের দমননীতিকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে অধিকাংশ জেলায় কাউন্সিল করা হচ্ছে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে গঠিত এসব কমিটি জেলার রাজনীতিতে কোনো রকম ভূমিকা রাখতে পারবে কিনা সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সন্দিহান। আবার যেসব কমিটি গঠিত হচ্ছে সেগুলো নিয়ে দলটির মধ্যে চরম অন্তর্কোন্দল ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। রাজশাহী জেলা ও মহানগর এবং শেরপুর জেলা কমিটি গঠনের পর এ কোন্দল প্রকাশ্য রূপ লাভ করেছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, গৃহীত পদক্ষেপের দ্বারা বিএনপি এগিয়ে যাবার পরিবর্তে আরো জটিলতার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। এ জন্য দলটির হাইকমান্ডের দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তার অভাবকেই দায়ী করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। পর্যালোচনা করলে এটা প্রতিভাত হয়ে উঠবে যে, ২০১৫ সালের রাজনৈতিক ক্ষতি ২০১৬ সালে বিএনপি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বরং নেতৃত্বের দুর্বলতা, সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বশীল নেতাদের গা-বাঁচানো নীতি দলটিকে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় উপনীত করেছে।
তবে এত কিছুর মধ্যেও ২০১৬ সালে বিএনপির দুটি ক্ষেত্রে ভালো অর্জন আছে। একটি হলোÑ নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ, অপরটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শক্তিমত্তা প্রদর্শন। নয়া নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংলাপের আয়োজন করেছেন এবং বিএনপিকে দিয়েই সেটা শুরু করেছেন। ফলাফল শেষ পর্যন্ত যাই হোক না কেন এটা নিঃসন্দেহে বিএনপির একটি অর্জন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের ফলাফল বিপক্ষে গেলেও এ উপলক্ষে দলটির নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর সুযোগ পেয়েছে। এটাও দলটির জন্য কম প্রাপ্তি নয়।
বস্তুত ২০১৬ সালেও বিএনপি আওয়ামী লীগের সাথে পেরে ওঠার মতো শক্তি অর্জন করতে পারেনি। এক্ষেত্রে দলটির নেতা-কর্মীরা হয়তো কৈফিয়তের সুরে বলবেÑ ‘সরকার আমাদেরকে মাঠে নামতে দেয় না, কীভাবে রাজনীতি করব?’ দলের মহাসচিব যখন বলেন, ‘সরকারের জুলুম-নির্যাতনের পরেও বিএনপি যে টিকে আছে সেটাই বা কম কিসে’Ñ তখন সাধারণ নেতা-কর্মীদের মনের অবস্থা কী হতে পারে তা অনুধাবন করা খুব একটা কঠিন নয়। কেউ কেউ অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন ‘তাহলে বিএনপি কী শুধু কোনো রকমে টিকে থাকার চেষ্টাই করে যাবে? সামনে এগোনোর কোনো চেষ্টাই কি আর করবে না? এ প্রশ্নের জবাব আগামী দিনগুলোতেই হয়তো পাওয়া যাবে। তবে এই দুঃসময়েও দলটির কতিপয় নেতা আত্মস্বার্থে যেভাবে দলীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে দ্বিধা করছেন না, তাতে আগামী দিনে দলটি কতটা এগোতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান না হয়ে উপায় কী?
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
mohon91@yahoo.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Laboni ৬ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:০৯ এএম says : 0
নেতৃত্বের দুর্বলতা, সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বশীল নেতাদের গা-বাঁচানো নীতি দলটিকে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় উপনীত করেছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন