শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

বিদায়ী বছরে বিশ্বের ঝাঁকুনী দেওয়ার মতো ঘটনাগুলো

| প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ রেজাউর রহমান : সময়ের পথপরিক্রমায় শেষ হলো আরো একটি বছর ২০১৬ সাল। বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল অন্যান্য বছরের মতো বিদায়ী ২০১৬। তবে ২০১৬ অনেক দিক থেকেই অন্যান্য বছর থেকে অধিক গুরুত্ব বহন করে। এ বছরের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশেষ করে দেশটির বৃহৎ দুটি দলের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে অতিক্রম করে দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রার্থী নির্বাচন ভোট। তারপর দলের পক্ষে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ বছর রিপাবলিকান পার্টির পক্ষে মনোনয়ন আদায়ে সক্ষম হয়েছিলেন ধনকুবের ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প আর অপর বৃহৎ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পান হিলারি ক্লিনটন। ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনীতিতে কোনো সক্রিয় নেতা ছিলেন না। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের পতœী নিউইর্য়ক থেকে নির্বাচিত সিনেটর, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদ (২০০৮-২০১২) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিধর রাষ্ট্র, সেহেতু ওই দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সকল দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যেই সৃষ্টি করে এক প্রচ- আগ্রহ। যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও সেক্ষেত্রে কোনো অংশেই ব্যতিক্রম ছিল না। বরং বিশ্বের সকল দেশের সরকার, গণমাধ্যম ও রাজনীতিসচেতন জনগণের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এ নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল এক অভূতপূর্ব মাত্রার আগ্রহ। যেসব কারণে এই ব্যতিক্রমধর্মী গভীর আগ্রহের সৃষ্টি সেগুলো হলো : (১) রিপাবলিকান পার্টির বিশাল এক বৃত্তে রাজনীতিতে সক্রিয় ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের উপেক্ষা করে ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন নবাগতকে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিধর রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া, (২) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে দ্বিতীয় মেয়াদের পরে ওই দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে নির্বাচিত না করে অপর দলের প্রার্থীকে নির্বাচিত করা, সে ক্ষেত্রে ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (২০০৮-২০১৬) আট বছর ক্ষমতায় থাকার পরে একই দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হলেও তার জয়ের আশা সাধারণত অনেক কম।
দলীয় মনোনয়ন লাভের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযান শুরু হলে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য, বিবৃতি ও মতামত ছিল পুরোপুরি অশ্লীল, অবাস্তব ও মানবতাবিরোধী। তার বক্তৃতা-বিবৃতিতে খোদ রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ যারা তাকে অদৃশ্য কারণে মনোনয়ন দিয়েছিলেন তারা পর্যন্ত তিনি যে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য তা বারবার উচ্চারিত করে প্রমাণ করেছেন যে, তারা নিজেরাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকার অযোগ্য।
৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই নয়, বরং সারা বিশ্বের জন্যই ছিল এক বিরাট চমক ও সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। ১২ নভেম্বর জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় শীর্ষ সংবাদে হেডিং দেয়া হয় ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জটিলতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যবস্থা জনগণের ভোট বেশি পেয়েও হেরে গেলেন হিলারি পিছিয়ে থেকেও জিতলেন ট্রাম্প’। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে হিলারি এগিয়ে থাকলেও জটিল ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে ট্রাম্প জিতে গেলেন। ইলেক্টোরাল কলেজের ২৭২ ভোট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন। হিলারি শুধুমাত্র ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে হেরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন না। জনগণের ভোট হিলারি পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার ২৪৫ ভোট, আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৫ কোটি ৯২ লাখ ৯ হাজার ৮৫৪ ভোট। প্রয়োজনীয় ২৭২টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের ২১৮টি পেয়ে জনগণের ভোট বেশি পেয়েও হিলারির পরাজয় ছিল বিশ্বের সকল দেশের সরকার, গণমাধ্যম ও রাজনীতিসচেতন জনগণের জন্য অত্যন্ত বিস্ময়কর।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছাড়াও বিদায়ী বছরের ২২তম জলবায়ু সম্মেলন ছিল বিশ্বের কল্যাণকামী কোটি কোটি মানুষের জন্য খুবই আগ্রহের বিষয়। ভারী শিল্পকারখানা ও কোটি কোটি পরিবহন কর্তৃক নিঃসরিত ঘাতক কার্বনজনিত কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও সমুদ্রের উচ্চতা নি¤œাঞ্চল ও দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মরক্কোর মারাকাশ শহরেও ৭ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলন। সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের ৫৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানগণ। এ ছাড়াও ১২০টি দেশের মন্ত্রী বা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ এতে যোগ দিয়েছিলেন। পৃথিবীর জলবায়ু বা আবহাওয়া আজ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও সমুদ্রের পানির ক্রমবর্ধমান উচ্চতা অনেক দেশের রাষ্ট্রনায়কদের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বর্তমানের চেয়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশকে হারাতে হবে সমুদ্র উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা। পৃথিবীর আবহাওয়া প্রতি বছর ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে থাকলে আবহাওয়ায় আসবে মারাত্মক পরিবর্তন। খরার কবলে পড়বে বহু দেশ। ঝড়-বৃষ্টির ব্যাপকতা বাড়বে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিস্তীর্ণ এলাকা। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী হচ্ছে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত জ্বালানি ও কয়েকশ কোটি যানবাহন থেকে নিঃসরিত কার্বন। সম্মেলনের শেষে ১৮ নভেম্বর মারাকাশ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। আশা করা যায় যে, এর আগে অনুষ্ঠিত প্যারিস সম্মেলনে উন্নত ও ধনী দেশগুলো জলবায়ুর পরিস্থিতির উন্নয়নে যে অর্থ সাহায্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা রক্ষা করবে।   
আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে বিশ্ব হারিয়েছে গত ২৫ নভেম্বর। কয়েক বছর আগে ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন থেকে অবসর নেয়া ৯০ বছর বয়সী ফিদেল ক্যাস্ট্রো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখ- থেকে মাত্র নব্বই মাইল দূরবর্তী দ্বীপরাষ্ট্র কিউবার বিরুদ্ধে আরোপিত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ মোকাবেলা করে কিউবার উন্নয়নে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করে সারা বিশ্বের জনগণের শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি লাভ করে গেছেন। ক্যাস্ট্রো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চার যুগ যাবৎ বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। ক্ষমতা ছাড়াও নিজের নামে কোনো সৌধ বা সড়কের নামকরণ না রাখার ব্যাপারে তিনি রেখে গেছেন এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কিউবার জনসাধারণ ও বিশ্বের সর্বত্র বামপন্থিদের নিকট তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাকে স্মরণ করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছে তার বর্ণাঢ্য জীবন ও সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে অজ¯্র লেখা ও ছবি।
বছরের শেষ দিকে পুনরায় মিয়ানমার থেকে উচ্ছেদ করা হয় হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। সেনাবাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গাদের বসতি গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করা হয়। শত শত রোহিঙ্গা নারীকে করা হয় গণধর্ষণ, হাজার হাজার রোহিঙ্গা আরো একবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রবেশের আশায় নৌকা দিয়ে নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশের তীরে এসে পৌঁছলেও প্রায় ক্ষেত্রেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। রোহিঙ্গাদের গণহারে দেশত্যাগ ও শরণার্থী হিসেবে অন্যান্য দেশে আশ্রয় গ্রহণের মরণপণ চেষ্টার ফলে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি সীমিতভাবে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। কয়েক বছর যাবতই মিয়ানমারের সামরিক জান্তা মিয়ানমারের গণতন্ত্রী নেত্রী অং সান সুচির সম্মতিতে রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে উচ্ছেদ করার যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে যাচ্ছে তার ফলে বছরখানেক আগেই সমুদ্রপথে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশেও দুটি নিবন্ধিত আশ্রয়শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা। আশ্রয়শিবিরের বাইরে আরো প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে জানা যায়। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা নারীদেরকে গণধর্ষণ করে শত শত রোহিঙ্গাদের হত্যা করে মিয়ানমারে গণতন্ত্রী নেত্রী শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচির সম্মতিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে গণহত্যা ও ধ্বংসলীলা চালিয়ে যচ্ছেÑ এই বছর তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশসহ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জনসভায় প্রদত্ত বক্তৃতায় মিয়ানমারকে সতর্ক করে দিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ায় সুচির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবিতে দেড় লাখ নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান প্রায় শেষ পর্যায়ে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় এমন হেলিকপ্টার গানশিপও ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা যায়। কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে। জাতিসংঘ মন্তব্য করেছে যে, মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার।
বছরের শেষ দিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয় অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরাইল কর্তৃক বসতি স্থাপন বন্ধ রাখার দাবি সম্পর্কিত প্রস্তাব। গত ১৬ ডিসেম্বর গৃহীত এ প্রস্তাবে এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করে বাতিল করে দেয়নি। ফলে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মেয়াদের অবশিষ্ট মাত্র কয়েক দিন থাকার আগে এ ধরনের প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করে বাতিল করে ইসরাইলকে অন্ধ সমর্থন দেয়ার চিরাচরিত প্রথার ব্যতিক্রম সৃষ্টি করে কূটনৈতিক বিশ্বে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনী দিয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট। অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইল কর্তৃক অব্যাহত বসতি নির্মাণের কর্মসূচি বন্ধ করা দাবি সম্পর্কিত প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদের চৌদ্দ সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতিতে পাস করা হয়। ভোটদান ও পরে প্রস্তাব বাতিল করার জন্য ভেটো প্রয়োগে বিরত ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বছরের (২০১৬) অন্য একটি বৈশিষ্ট্য ছিল একই বছরে বিশ্বের দুই রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টদ্বয়কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু। ল্যাটিন আমেরিকার বৃহৎ রাষ্ট্র ব্রাজিল ও পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টদের ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে স্বজনদেরকে আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেয়া ইত্যাদি কারণে সরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে আনীত অভিশংসন প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, দুই প্রেসিডেন্টই নারী।
বিশ্বেব্যাপী শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন বছর ২০১৭। কারণ ২০১৬ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য মনোনীত করেছেন। প্রায় সকলেই উগ্র মতবাদের সমর্থক, যারা সারা বিশ্ব থেকে সম্পদ আহরণ করে যুক্তরাষ্ট্রকে অধিকতর সমৃদ্ধ করায় বিশ্বাসী এবং এ জন্য কাজ করে যাবেন। কাজেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু না করলেও বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যে ধ্বংস করবেন এ ব্যাপারে প্রায় সকলেই একমত।
লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন