শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

বেনাপোল স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : বাণিজ্যিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়নি দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। ফলে পণ্য চুরির মতো ঘটনাও হরহামেশা ঘটছে বন্দরে। এদিকে ডিজিটালাইজেশনের দিক থেকেও পিছিয়ে রয়েছে বন্দরটি। এখনো দাপ্তরিক কার্যক্রমের অধিকাংশই সম্পাদন করা হয় হাতে-কলমে। এছাড়া বন্দরের ৩৮টি শেডের অধিকাংশই পণ্য রাখার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব অব্যবস্থাপনার কারণে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরে সিসি ক্যামেরা থাকলে এসব অনিয়ম অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। বিভিন্ন বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশন না হওয়ায় পণ্য আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়ায় সময় বেশি লাগছে। পাশাপাশি অন্যান্য অব্যবস্থাপনা তো রয়েছেই। এসব বিষয়ে বারবার অবহিত করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা ১৯৭২ সালে। এ বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে রওনা হয়ে ৪ ঘণ্টায় একটি ট্রাক আমদানি পণ্যের চালান কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ব্যবসায়ীদেরও এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। কিন্তু সম্প্রতি অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে বন্দরটি ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বন্দরটির সার্বিক নিরাপত্তা ও আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমদানি পণ্য প্রবেশদ্বারসহ দুই কিলোমিটার বন্দর এলাকাজুড়ে কোথাও কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। প্রয়োজন ছাড়া বন্দরের মধ্যে সাধারণের যাতায়াত নিষেধ থাকলেও অবাধে বহিরাগতরা প্রবেশ করছেন। বন্দরের রাস্তাঘাট ও পণ্যাগারের অবস্থাও বেশ নাজুক। চুরি হওয়া আমদানি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বন্দরের সামনেই নামে-বেনামে বিভিন্ন দোকান গড়ে উঠেছে। এমনকি সংঘবদ্ধ এ চোর চক্র নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর ওপরও হামলা চালাচ্ছে। অব্যবস্থাপনা ও অনিরাপত্তা দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করায় ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে টানা পাঁচ বছর বন্দরটি থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বন্দর ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি ছিল ২০৩ কোটি টাকা। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮ কোটি ৭১ লাখ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল। আমদানি পণ্যের পরিমাণেও এ ক্রম-হ্রাসমান প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভারত থেকে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৮ টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হলেও পরের অর্থবছরে তা কমে ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ টনে দাঁড়ায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন