শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির বাকি অংশ দ্রুত খুলে দেয়া হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : চলতি বছর জুনের মধ্যেই মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির বাকী অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে যাবে। সমাপ্ত হবে সরকারের আরেকটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। যান চলাচলের জন্য ফ্লাইওভারটি পুরো উন্মুক্ত হলে রাজধানীবাসী এর সুফল ভোগ করবে। কমে আসবে প্রকল্প এলাকার যানজট। এতে করে নগরবাসীর দুর্ভোগ অনেকাংশেই লাঘব হবে।
গত বছর ১৯ জানুয়ারি একনেক সভায় পাস হওয়া ডিপিপি অনুযায়ী মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। চলতি বছর জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে বলে ডিপিপি’তে উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, অনুমোদিত ডিপিপি ব্যয় এবং মেয়াদের মধ্যেই প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। জানা যায়, এই ফ্লাইওভারের প্রতিমিটারের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ১৩ দশমিক ৫০ লাখ টাকা; যা অন্যান্য ফ্লাইওভারের নির্মাণ ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।
প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূলতার মাঝেও দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের শেষ ধাপের নির্মাণকাজ। অচিরেই চালু হবে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের বাকি এই অংশটি। সাতরাস্তা থেকে শুরু হয়ে হলি ফ্যামিলির মোড় পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের একটি অংশ গত বছর ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
দ্বিতীয়ধাপে ফ্লাইওভারটির ১ কিলোমিটারের আরেক অংশ বাংলামটর থেকে মৌচাক ওয়্যারলেস পর্যন্ত গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয়। এই অংশের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমপি। আর চলতি বছর জুনের মধ্যেই ফ্লাইওভারের বাকী অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এই অংশটি হচ্ছে-রামপুরা, রাজারবাগ, শান্তিনগরের দিকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী ইনকিলাবকে বলেন, সম্পূর্ণ ফ্লাইওভারটি চালু হলে মগবাজার- মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর এলাকার যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। সেই সাথে যাত্রী সাধারণের মূল্যবান সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি দুর্ভোগও লাঘব হবে। তিনি আরও জানান যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১-কে লক্ষ্য রেখেই সারাদেশে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি।
শ্যামা প্রসাদ অধিকারী বলেন, প্রকল্পের কাজের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিভিন্ন সংস্থার ইউটিলিটিজ এবং হাইভোল্টেজ পাওয়ার লাইনের কারণে প্রতিটি ফাউন্ডেশনের আলাদা ডিজাইন করে সেগুলো অন্যত্র স্থানান্তরের কারণে কাজ বাস্তবায়ন করতে যেয়ে কাজের পরিমাণ ও সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়াও ভূমিকম্প সহনীয় করতে এসটিইউ সংযোজন করায় প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, প্রকল্প এলাকায় জনদুর্ভোগের জন্য সমন্বয়হীনতাও অনেকাংশে দায়ী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিপিডিসি মাটি খুঁড়ে হাই ভোল্টেজ লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করায় সেখানে যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশন প্রকল্প এলাকায় জমা পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ না করার কারণেও দেখা দিয়েছে জন দুর্ভোগ।
ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে নিচের রাস্তা দিয়ে যান চলাচলে সমস্যা দেখা দেবে কিনা জানতে চাইলে শ্যামা প্রসাদ বলেন, ফ্লাইওভারটি রাস্তার মাঝ বরাবর সিঙ্গেল কলামের উপর নির্মিত হওয়ায় পূর্বের ন্যায় একইভাবে নীচের রাস্তা ব্যবহার করেই যানচলাচল করতে পারবে।
বরং ফ্লাইওভার ও নিচের রাস্তা দু’টিই চলাচলের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত হলে এই এলাকার যানজট নিরসন হবে। তিনি বলেন, এই ফ্লাইওভারটি নির্মাণের পূর্বে যান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত রাস্তার চওড়া ঠিক রেখেই ২-তলা বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে; যেখানে অতিরিক্ত ৪ লেন বিশিষ্ট রাস্তার সুবিধা জনসাধারণ পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মিনহাজ উদ্দিন ১১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:৩৬ পিএম says : 0
এটা খুলে দেয়া খুব জরুরী
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন