রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ইস্রাফিল মিয়া নামে এক যুবলীগ কর্মীর বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করায় দুই মহিলাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। শনিবার বিকেলে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের হরিনা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে ইছাখালী এলাকায় ভ‚মিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিক্ষোভ মিছিলে ইস্রাফিল মিয়াসহ স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে নাওড়া এলাকার সন্ত্রাসী ইউনুছ, দুলাল, আলাউদ্দিন, বিল্লাল, হরিনা এলাকার মান্নান ও মানিক মিয়ার নেতৃত্বে তাদের বাহিনীর প্রায় দুই শতাধীক সদস্য রাম দা, চাপাতি, ছোড়াসহ ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইস্রাফিল মিয়ার বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এক পর্যায়ে দু’টি বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ঘরে থাকা পরিবারের সদস্যরা বের হয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যায়। সন্ত্রাসীরা একটি দোকানঘর, মাছের খামার ঘর, মুরগির খামারেও আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় ইস্রাফিল মিয়ার স্ত্রী ছোবা বেগম ও মা আম্বিয়া বেগম গুরুতর আহত হয়। সন্ত্রাসীর বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এসময় এলাকার লোকজন ছুটাছুটি করতে শুরু করে। পরে শত শত এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত ইস্রাফিল মিয়াসহ পরিবারের লোকজন। এদিকে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, হরিনা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তদন্ত মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন