বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

গঙ্গাচড়ায় কাঁঠাল মুচি পচারোগে আক্রান্ত উদ্বিগ্ন কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোহা. ইনামুল হক মাজেদী গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে : রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলা কাঁঠালের মুচি পচারোগ দেখা দেয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে চাষীরা, এ রোগের প্রতিকার সম্পর্কেও তারা ভালোভাবে জানেন না। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিগ্রামে কাঁঠাল গাছের রোগ দেখা দিয়েছে। তবে কৃষিবিদের মতে দেশে প্রায় সব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল উৎপাদন হলেও এর বড় একটি অংশ মুচি পচারোগে নষ্ট হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় বিশ্বে প্রায় ৫০ প্রজাতির কাঁঠাল রয়েছে। এসব প্রজাতির অনেক গাছেই খাওয়ার উপযোগী উৎপন্ন করে। এ সকল কাঁচা ও পাকা অবস্থাতেই খাওয়া যায়। তবে এ জাতীয় ফলের ১৩টি রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ছত্রাক জনির ভাইরাস জনিত, শেওলা জনিত, পরগাছা জনিত এবং দুইটি সরির বৃত্তটি কারণ জনিত রোগ। বাংলাদেশে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে কাঁঠালের ফল বা মুচি আসতে শুরু করে। এ সব মুচি থেকে কাঁঠাল হয়। মুচির মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষ মুচি রয়েছে। পুরুষ মুচি থেকে কাঁঠাল হয় না। পরাগায়নে পর পুরুষ মুচিদের কাজ সম্পন্ন হয়। স্ত্রী মুচি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। পুরুষ মুচি গুলো শুকিয়ে ঝরে যায়। সমস্য হলো তখন পুরুষ-স্ত্রী মুচি নিবিচারে পচতে শুরু করে। আর এটি হয় রোগের কারণ। রোগটির নাম কাঁঠালে মুচির পচারোগ। এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ নবনিদাস গ্রামে কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, আমরা গ্রামের মানুষ তাই সবকিছু বুঝে উঠতে পারি না। কাঁঠালের মুচি পচারোগের লক্ষণ ও এ রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আমরা না জানার কারণে প্রতি বছর বড় ধরনের কাঁঠাল উৎপাদনের থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। কাঁঠালের মুচি পচারোগের কারণে এবার কাঁঠাল উৎপাদন কমবে বলে কৃষকরা জানান, গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, কাঁঠাল গাছে মুচি পচারোগ দেখা দিলে পচা মুচি মাটিতে না ফেলে গাছ থেকে অনেক দুরে নিরাপদ স্থানে পুতে ফেললে রোগ জীবানু বেশী ছড়াতে পারে না। কাঁঠাল গাছের নিচের জমি পরিচ্চন্ন রাখলে এ রোগ অনেক কম হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন