শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

মানুষের কল্যাণেই রয়েছে সীমাহীন আনন্দ : গওহর রিজভী

| প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, বৈষয়িক সাফল্যের একটা সীমা রয়েছে। কিন্তু আমরা যখন নিজেকে ছেড়ে অন্যের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে এগিয়ে যাই, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেইÑতখনই আমরা সীমাহীন আনন্দ পাই। আর স্বেচ্ছা রক্তদাতারা নিয়মিত রক্তদানের মাধ্যমে সেই আনন্দই অনুভব করতে পারেন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্দেশে ড. রিজভী বলেন, আপনারা যারা নিয়মিত রক্তদান করেন; তারা আসলে আনন্দের সাথেই কাজটা করেন। এটি একটি ইবাদত। এর থেকে বড় কাজ, এর থেকে বড় ইবাদত আর নেই। এতো বড় মন নিয়ে আপনারা যে এই কাজ করে যাচ্ছেন; তার জন্যে কৃতজ্ঞতা বা ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আপনাদের এই মানসিকতায় আমি অভিভূত। আপনাদেরকে অভিনন্দন। রক্তদান ছাড়াও কোয়ান্টামের অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রমকেও অভিনন্দন জানান তিনি এবং ভবিষ্যতে এসব কর্মসূচিতে সম্পৃক্ততার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, রক্তের আসলে কোনো বিকল্প নেই। আর আজকের প্রেক্ষাপটে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যে অবস্থান তা শুধু আপনাদের জন্যেই নয়, দেশের জন্যেও অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার। রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের অনারারি পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম ইউনুস।
অনুষ্ঠানে ১০ বার রক্তদানের মাধ্যমে সিলভার ক্লাব এবং ২৫ বার রক্তদানের মাধ্যমে গোল্ডেন ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করেছেন এমন ১৮৩ জন স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়। এ সময় থ্যালাসেমিয়া রোগী নবম শ্রেণির ছাত্রী আশফিয়া ও নিয়মিত রক্তদাতা কাওকাব আস সাদিয়া তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারী সভাপতির বক্তব্যে রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পৃথিবীতে আইন করে রক্ত নেয়া সম্ভব নয়। রক্তদাতাদের সহমর্মীতা ও ভালোবাসাতেই এটি সম্ভব। রক্তদাতাদের এই দানের প্রতিদান কোনো মানুষের পক্ষেই দেয়া সম্ভব নয়। আর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন দু যুগ ধরে স্বপ্ন দেখছে, মানবিকতায় বিশ্বের সেরা দশ জাতির একটি হবে বাংলাদেশ। আমরা বিশ্বাস করি, সেই স্বপ্নযাত্রায় আপনারাই হলেন প্রথম অভিযাত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে কোয়ান্টাম ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত ৮,৫৮,৪৯৭ ইউনিট রক্ত সরবরাহ করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন