কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নে অবস্থিত খানজিয়া বিট খাটালের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিদ্দিক গাজী ওরফে কালু সিদ্দিক নামে এক মাদক চোরাকারবারি। সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে ও তথ্য গোপন করে যাতে ওই চোরাকারবারি বিট খাটালের লাইসেন্স না পান সে ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার নলতা ইউনিয়নের সেহারা গ্রামের রহিম গাজীর ছেলে এলাকার মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত সিদ্দিক গাজী একজন চিহ্নিত চোরকারবারি। তিনি ১৭ নীলডুমুর বিজিবির খানাজিয়া বিওপির আওতাধীন বিট খাটালের অনুমোদন নিয়ে এর আড়ালে ভারত থেকে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের সাথে জড়িত। হুন্ডি ব্যবসার জন্য তার রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। ইতোপূর্বে কালু সিদ্দিক ও তার সহযোগীরা নারিকেলের ছোবড়ার ভিতরে অভিনব কায়দায় ফেনসিডিল পাচারের সময় পুলিশের অভিযানে ৩৩৬ বোতল ফেনসিডিল আটক হয়। নলতা ইউপির চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড় জানান, সম্প্রতি বিট খাটালের লাইসেন্স নবায়নের জন্য যে আবেদন করেছেন সেখানেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলতি অর্থবছরের ট্রেডলাইসেন্স না নিয়ে তিনি বিগত সময়ে নেয়া ট্রেড লাইসেন্সে জালিয়াতি করে জমা দিয়েছেন, যা যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তাছাড়াও সিদ্দিক গাজীর দাখিলকৃত হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়া আছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান। নলতা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, এই চিহ্নিত মাদক সম্রাটকে বিট খাটালের অনুমোদন দিলে তিনি পূর্বের ন্যায় মাদকসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য অবৈধভাবে নিয়ে এসে দেশের অভ্যন্তরে পাচার করে দেশের ক্ষতি করবেন বলে ধারণা এলাকাবাসীর। আর এসব আশঙ্কা থেকে চিহ্নিত ওই মাদক ব্যবসায়ী যাতে বিট খাটালের অনুমোদন না পায় সেজন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন