ইনকিলাব ডেস্ক : রাজধানীতে যানজট ও গাড়ির ধীর গতির কারণে প্রতি মাসে ক্ষতি হচ্ছে ২২৭ কোটি টাকা। বছরে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘নগর পরিস্থিতি ২০১৬, ঢাকা মহানগর যানজট-শাসন-ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে’ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। সম্প্রতি রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এটি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দর থেকে পোস্তগোলা ভায়া গুলশান, মহাখালী, গুলিস্তান এবং বুড়িগঙ্গা সড়ক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ রুটে অপেক্ষাকৃত কম ব্যস্ত সময়ে (অফপিক আওয়ারে) গাড়ির গতিসীমা থাকে ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার, তবে পিক আওয়ারে যানজটে গতিসীমা কমে ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার। গাড়ির এই ধীর গতির কারণে প্রতিমাসে ২২৭ কোটি বা ২৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিবার যাতায়াতে একজন যাত্রীকে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য জনপ্রতি ৫৩ টাকা। এটা গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়ের অতিরিক্ত খরচ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০০৪ সালে ঢাকায় গাড়ি চলাচলের গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ২১.২ কিলোমিটার। ২০১৫ সালে এই গতি নেমেছে ঘণ্টায় ৬.৮ কিলোমিটারে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে ঢাকার যানজটের জন্য বিশেষত তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, প্রাইভেট কার দিয়ে সড়কের জায়গা দখল এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন। প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকার ৯৮.৩ ভাগ গণপরিবহন ও ৬৮ ভাগ প্রাইভেট কার ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে।
এতে আরো বলা হয়, গণপরিবহনের অনেক চালক গাড়ি পার্কিংয়ের নিয়ম, গতিসীমা, গাড়ি চালানোর সময় কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন তা জানে না। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, বিআরটিএ-তে চালক ও গাড়ির লাইসেন্স ব্যবস্থাপনা ‘দালাল’ দ্বারা প্রভাবিত, যারা টাকার বিনিময়ে এমনকি পরীক্ষা ছাড়া লাইসেন্স সরবরাহ করে।
ডিএমপি, দুই সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ), রাজউক এবং যাত্রীদের কেস স্টাডি, মাঠ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। এতে ৭৭৪ জন পরিবহন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।-ওয়েবসাইট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন