শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সবকিছু করা হবে

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন
পঞ্চায়েত হাবিব : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার যুগোপযোগী বাস্তবসম্মত টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, বেসরকারি খাতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে উৎসাহ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত  দেশে ৩৩৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১ শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মোট ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট  ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রনির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। বর্তমানে ৪৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।বর্তমানে মোট ৬৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পরমাণু শক্তিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম স¤প্রসারণের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এই প্রতিশ্রæদি দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, আমরা জনগণের সেবার জন্যই রাজনীতি করি। কেবল সরকারে নয়, বিরোধী দলে থাকতেও যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। দুর্যোগে মানুষের জীবন রক্ষাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ¡াসও হবে। কিন্তু ওই সময় আমাদের প্রথম কর্তব্য মানুষের জীবন রক্ষা করা। আমরা সতর্ক আছি। যখনই ঘুর্ণিঝড়ের আভাস পাই, তখনই কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এবং সেগুলো মোকাবেলায় কার কী করণীয় তা নির্ধারণ করে মানুষের পাশে ছুটে যাই। সব ধরণের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করি বলেই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হই।
ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। সাগরে ভাটা থাকায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। তবে প্রচুর ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সরকার ও সচেতন প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, ভিয়েনা সফরে থাকতেই ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দুইটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ তৎপরতাসহ মানুষের জানমাল রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোকেও ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে লাগানো হবে।    
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুধবার সকালে দেশে ফেরার পরপরই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে। দলের পক্ষে একাধিক টিমও গঠন করা হয়েছে। যেগুলো আজ-কালের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবে। কেমন ক্ষতি হয়েছে, পুনর্বাসনে কী কী করণীয় সেগুলোও তারা (আওয়ামী লীগ) নির্ধারণ করে সুপারিশ করবে। সরকার, প্রশাসন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়িঘর মেরামত করে দেওয়া হবে। খাদ্য ও নগদ সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনে সবকিছু করা হবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকার নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার ‘মুজিব কেল্লা’র উন্নয়নসহ নতুন নতুন সাইক্লোন সেন্টার তৈরি ও উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা
এ প্রসঙ্গে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদহানি হলেও তৎকালীন বিএনপি সরকারের নিদারুণ ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় বিএনপি সরকারের কোনো পূর্বপ্রস্তুতিই ছিল না। এ কারণে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংস হয়। বিপুল সংখ্যেক গবাদি পশু ভেসে যায়। নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় বিরোধী দলে থাকলেও আমরা দলের সব সংসদ সদস্যকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি এমনকি মারা যাওয়া মানুষের মরদেহ উদ্ধার ও দাফনের পদক্ষেপও নিয়েছিলাম।     
তিনি বলেন, ওই সময় আমি সংসদে দাঁড়িয়ে লাখ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাাপক সম্পদ ধ্বংসের কথা তুলে ধরলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল, তত মানুষ মারা যায়নি।’ আমি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘কত মানুষ মারা গেলে আপনার তত মানুষ হতো?’ খালেদা জিয়া এই প্রশ্নের জবাব দেননি। কত লাখ মানুষ মারা গেছে, কত গবাদি পশু ভেসে গেছে, কত ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়েছে- তার খোঁজখবরও বিএনপি সরকার রাখেনি।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় সতর্ক। ঝড় আসলে কী  কী করণীয়, এ ব্যাপারে একটি বই ছাপানো হয়েছে। বইটিতে স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রীয়ভাবে কী করণীয় এ ব্যাপারে সব ধরনের গাইডলাইন দেওয়া রয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উপকূলীয় মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ২২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে। ভবিষ্যতে আরো  আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে  শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সাথী। দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতাও আমাদের রয়েছে এবং আমরা এই সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছি। হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো গতিশীল হওয়ার আহŸান জানান।
সরকারি দলের সদস্য মো. আবদুল্লাহ এমপির এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে আমি নিজে দুইবার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি, মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রী, এমপি, সচিব ও সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা বন্যাকবলিত এলাকা নিয়মিত পরিদর্শন করছেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ি ঢল ও আকষ্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর দুর্দশা লাঘবে ২২মে পর্যন্ত ৩ হাজার ৯২৪ মেট্রিকটন জিআর চাল, ২ কোটি ২৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ, ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে মাসিক ৩০ কেজি হারে (২৩ এপ্রিল থেকে জুলাই ২০১৭) ৩ মাস ৮ দিনের জন্য  মোট ৩২ হাজার ৩৪০ মেট্রিকটন  ভিজিএফ চাল, ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা হারে ৩ মাসের জন্য ( মে-জুলাই, ২০১৭) মোট ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ৯১ হাজার ৪৪৭ জন সুবিধাভোগীকে ৮২ কোটি ৭ লাখ ৬৮৯ টাকা, ৫টি জেলার ৫০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মৎসজীবী ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারকে মাসিক ৩০ কেজি হারে ৩ মাসের জন্য মোট ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন এবং পরিবার প্রতি ৫০০ টাকা হারে ৩ মাসের জন্য ৭  কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর হাজিরার মাধ্যমে সংসদে চালু হল ‘ডিজিটাল হাজিরা’ পদ্ধতি
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার হাজিরা দেয়ার মাধ্যমে গতকাল বুধবার থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এমপিদের উপস্থিতির ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। একজন এমপি হিসেবে ডিজিটাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে হাজিরা দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি সংসদ সচিবালয় থেকে ডিজিটাল পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। নীল ফিতায় সবুজ রঙের নতুন ওই পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে গতকালের প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।
সংসদ সচিবালয় জানায়, এমপিদের হাজিরা গণনা ব্যবস্থা ডিজিটাল করার অংশ হিসেবে নতুন এই পরিচয়পত্র আইনপ্রণেতাদের দিচ্ছে সংসদ সচিবালয়। এখন থেকে সংসদ কক্ষের প্রবেশপথগুলোয় বসানো ডিজিটাল মেশিনে কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে হবে। এর আগে এমপিরা খাতায় সই করে হাজিরা দিতেন।  তবে এমপিদের জিডিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা শুরু হলেও এখনও সব এমপি এই ডিজিটাল কার্ড পাননি বলে জানা গেছে। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল পরিচয়পত্র ইস্যু করা হচ্ছে। সব সদস্যদের হাতে এই পরিচয়পত্র পৌঁছে গেলেই পূর্ণাঙ্গভাবে ডিজিটাল হাজিরা চালু হবে।
শব্দযন্ত্র বিভ্রাট
ডিজিটাল সংসদের অধিবেশন চলল এনালগ সিস্টেমে!
শব্দযন্ত্রের ত্রæটির কারণে গতকাল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এমপিদের কথা বলতে হয়েছে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে। অধিবেশনের শুরুতেই শব্দযন্ত্রের বিভ্রাটের বিষয়টি এমপিদের অবহিত করে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম চালু করা যাচ্ছে না। আমি নাম বলার পর নিজেরা নিজেদের মাইক্রেফোন অন করবেন। আমি এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবো।’
বিদ্যমান ব্যবস্থায় সংসদে স্পিকার কোন সংসদ সদস্যকে ফ্লোর দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার মাইক চালু হয়ে যায়। স্পিকার তাকে বসতে বললে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। এটা সংসদ সচিবালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে গতকাল এটি করা সম্ভব হয়নি।  মাইক্রোফোনের এই বিভ্রান্তির কারণে অনেক এমপিকে নিজের আসন ছেড়ে অন্যের আসনে গিয়ে কথা বলতে হয়েছে। এতে এমপিদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এক পর্যায়ে এম এ লতিফকে ফ্লোর দিলে তখন মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তখন তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাইক ছাড়াই বলবো? এ সময় কয়েকজন এমপি বলেন, বলেন..বলেন। কিছুক্ষণ এমন চলতে থাকে। পরে তিনি অন্য এক এমপির আসনে গিয়ে কথা বলেন। রসিকতা করে তখন স্পিকার বলেন, ‘মাননীয় সদস্য আপনি তো সব সময় অন্যের আসনে থাকতেই পছন্দ করেন, তাই আজ আপনাকে অন্যের আসনে গিয়েই কথা বলতে হয়েছে। এ সময় সবাই হেসে উঠেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
রাজিব ১ জুন, ২০১৭, ২:৫৩ এএম says : 0
শুধু সরকারী নয় বেসরকারী উদ্যোগেও এগিয়ে আসতে হবে।
Total Reply(0)
জাহিদ আহমদ জিয়া ১ জুন, ২০১৭, ৬:৩০ পিএম says : 0
ধন্যবাদ সরকারকে ভালো কাজের উদ্দ্যেগ নেওয়ার জন্য
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন