শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে

প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১০ এএম, ২৯ মে, ২০১৭


উপকূলে অসহ্য গুমোট গরম : দুর্যোগের আতঙ্ক : বন্দরে সঙ্কেত
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গতকাল রোববার বিকেলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপটি পরবর্তী ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই সামুদ্রিক সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ এর মতিগতির দিকে সতর্ক পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। এরআগে গতকাল সকালে সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ। গভীর নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১নং সংকেত দেখানো হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের সমগ্র উপকূলভাগে অসহ্য গা-জ্বলা গরম ও গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৮ ডিগ্রি সে. (সীতাকুন্ড)। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ কমলেও উপকূলভাগে তা বিস্তৃত হয়েছে। ভ্যাপসা গরমের সাথে বিদ্যুতের ঘন ঘন বিভ্রাট ও লোডশেডিংয়ের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে টানা ১০ দিনের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ স্বস্তির বৃষ্টির আশায় চাতকের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
মসজিদে রহমতের বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হচ্ছে। টানা গুমোট গরমের কারণে ইতোমধ্যে উপকূলবাসীর মনে দুর্যোগ-আতঙ্ক ভর করেছে।      
সর্বশেষ বুলেটিনে গত সন্ধ্যায় আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল বিকেল ৩ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কি.মি. দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পরবর্তী ১৫ ঘন্টার মধ্যে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১নং দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন