মুর্শিদা খানম
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার কাঠামোর প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর। যা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন ও আইন পরিষদের তৈরি একটি প্রতিষ্ঠান, এটি অনেক পুরুনো ব্যবস্থা, ঐতিহাসিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান পর্যায়ের রূপ লাভ করছে। ১৮৭০ সালের বেঙ্গল চৌকিদারি আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে এর প্রথম সাংবিধানিক পরিচয় ঘটে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং-৭ এবং রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ২২, ১৯৭৬ সালের স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ, ১৯৮০ সালের স্থানীয় সরকার সংশোধন অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ১৯৯৩ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন, ১৯৯৭ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন এবং স্থানীয় সরকার (জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ ২০০৮-এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা বর্তমান পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ-এর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার তৃণমূল পর্যায় হলো ইউনিয়ন পরিষদ। এতে বিভিন্ন সময়ে সরকারের নেওয়া নানা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। ১৯৯৭ সালের ইউনিয়ন পরিষদ অধ্যাদেশ যে পরিবর্তন দেখা যায় তাতে সংরক্ষিত তিনটি সদস্য পদে নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা হয়। যা পূর্বে মনোনয়নের মাধ্যমে করা হতো। এক্ষেত্রে একটি ইউনিয়ন পরিষদে ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সাধারণ সদস্য এবং তিনটি ওয়ার্ড মিলে একজন নারী সদস্য অর্থাৎ ৯টি ওয়ার্ড-এর মধ্যে সংরক্ষিত আসনে ৩ জন নারী সদস্য নির্বাচিত হবার নিয়ম রয়েছে। ১ জন চেয়ারম্যান, ৯ জন সাধারণ সদস্য এবং ৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য; মোট ১৩ জনের প্রত্যেকেই ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এই যে জনরায় এবং জনগণের সরাসরি ভোট এটি হলো জাতির গণতান্ত্রিক মন-মানুষের প্রতিচ্ছবি। ১৯৭১ সালে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য, সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেছিল স্বশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজকের গণতন্ত্র জাতিকে এখনও সুশাসন দিতে পারেনি। কখনও বা রাজনৈতিক সুবাতাস বয়ে গেলেও দ্রুতই নিঃশেষ হয়েছে, স্বস্তি পায়নি জাতি। গণতন্ত্র থাকলেও গণতান্ত্রিক আধুনিকায়ন হয়নি। আধুনিকায়ন উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত, সে দিক থেকে বলা যায়, রাজনৈতিক উন্নয়ন ঘটেনি। একজন আধুনিক মানুষ পৃথিবীকে পরিবর্তনমুখী দেখতে চায়, কল্যাণমুখী পরিবর্তনের সাথে একাত্মতা পোষণ করতে চায়, পরিবর্তনের আনয়নের সাথে আস্থাশীল থাকতে চায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে ওঠার পাশাপাশি রাজনীতির দ্রুত ও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে গণতন্ত্রের আধুনিকীকরণ। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন, অনেক বেশি আধুনিক। তারা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, মতামত প্রকাশে আত্মপ্রত্যয়ী। অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো ও সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশীর্বাদে আরও বেশি সমাজমুখী, রাজনীতিমুখী। প্রকৃতপক্ষে, তারপরও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রত্যাশিত আধুনিকীকরণ হয়নি। আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া একটি সমাজের সামাজিক অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক প্রভৃতি দিককে এমনভাবে তৈরি করে যা একটি উন্নত রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্ম দেয়। একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য, সফল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য চাই সুশাসন। এগুলো একটি অপরটির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। একটি দুর্বল হলে অন্যটি তাকে সবল ও গতিশীল হতে সাহায্য করে।
সমাজে বসবাসরত প্রতিটি মানুষের চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা ও আশা আকাক্সক্ষা সব কিছুই সুষ্ঠু গণতন্ত্র ও সুশাসনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। গণমানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের একটি প্লাটফর্ম ইউনিয়ন পরিষদ। দেশের অধিক সংখ্যক গ্রামীণ জনপদে এই ইউনিয়ন পরিষদের অবস্থান। এর রয়েছে একটি বিশেষ স্বতন্ত্র সত্তা যা বাংলাদেশের সংবিধানের সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় জনগণের অধিকার বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা প্রয়োগের স্বাধীনতা প্রদান সবই সংবিধানে সংযোজিত। এগুলোকে কার্যত অবহেলার অর্থ হলো সংবিধানকে অস্বীকার করা। যেখানে গণতন্ত্র, সংবিধান অবহেলিত সেখানে সুশাসন অস্তিত্বহীন। সুশাসন হচ্ছে নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন ব্যবস্থা অর্থাৎ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বতন্ত্রীকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ। বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর স্যামুয়েল হ্যান্টিংটন এর মতে, একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রক্রিয়াগুলোর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাত্রা যতো বেশি হবে, উক্ত ব্যবস্থায় ততোবেশি রাজনৈতিক উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করা হবে। সুতরাং স্পষ্টতই প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু পৃথক ও স্বতন্ত্র সত্তা লাভ করবে না, সেগুলোর স্বাধীনভাবে কার্যপরিচালনা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা থাকবে। এতে করে সরকার এবং জনগণের স্বার্থ ও সম্পর্কে উন্নয়ন ঘটে আর সুশাসন সফল হয়। ফলে, সমাজে বিদ্যমান বহুমত বিভক্তির মাঝেও জাতির জন্য সার্বিক কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়। জনকল্যাণ নিশ্চিত হলে সুশাসনের মূল লক্ষ্য অর্জিত হয়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এসেছে। পৌরসভার মতই ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাও নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ স্বায়ত্তশাসনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেও সহজেই প্রভাবিত করার এক রকম পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে মনে করা যায়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন যা পরিচালিত হয় দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিরপেক্ষ, সাংবিধানিক সংস্থা ‘নির্বাচন কমিশন’-এর দ্বারা। সংবিধান ‘নির্বাচন কমিশন’কে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদান করেছে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ থেকে ১২৬ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত এর ক্ষমতা, দায়িত্ব, কর্তব্য ব্যাখ্যা করা আছে। সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে ‘নির্বাচন কমিশন’ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু, অকার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও দুর্বল গণতান্ত্রিক পরিবেশের কারণে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা পরিচালনা ও প্রয়োগের স্বাধীনতা দেখতে পাওয়া যায় না। নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রেও এর কোন ব্যতিক্রম নেই। গত ২০ ডিসেম্বর, নির্বাচন কমিশন পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সরকারে অবস্থানরত ব্যক্তিদের (মন্ত্রী/এমপি) আচরণ বিধি লঙ্ঘনসহ নির্বাচনী অনাচারের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করেছিলেন। এর থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়, অনিয়ম-অনাচার মোকাবিলায় কমিশনের যে আইন ও ক্ষমতা রয়েছে তার প্রয়োগের স্বাধীনতা নেই। শুধু তাই নয়, ৩০ ডিসেম্বরের পৌরসভা নির্বাচনে পুলিশের ঘোষণা ছিল, তারা কোন সাংবাদিককে বুথের ভেতরে ঢুকতে দেবেন না। প্রথমে নির্বাচন কমিশন এ দাবি নাকচ করলেও পরে সেটি কার্যকর করেছে কমিশন। পূর্ববর্তী সিটি নির্বাচনেও ঠিক এমন ব্যবস্থাই দৃষ্টিগোচর ছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নৈতিক দেউলিয়াত্বের চিত্র জাতির কাছে স্পষ্ট। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে আসা নির্বাচনী বিধিমালায় কমিশন কর্তৃক প্রার্থিতা বাতিল ধারাটি একেবারেই বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও প্রথমবার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের আচরণ বিধিতে এ ধারাটি ছিল এবং এখনো বহাল রয়েছে। জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনেরও প্রার্থিতা বাতিলের সুযাগ রয়েছে কমিশনের। রাজনৈতিক দলের জরিমানার ক্ষমতা ছিল ইসির। এ ক্ষমতাও ক্ষুণœ করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিচালনা বিধি লংঘন করলে কোন রাজনৈতিক দলের ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। এই অর্থ দ-ের বিধানটি বাতিল করা হয়েছে, জরিমানার কমানোর কথা বলা আছে। নির্বাচন কমিশনের এ দুটো অন্যতম ক্ষমতা ক্ষুণœ হওয়ায় ইসির প্রকৃত ক্ষমতা খর্ব হয়েছে কি-না এ বিষয়ে ইসির সচিব মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও সচেতন মহল মনে করে নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ইসির এখন আর কঠোর হওয়ার সুযোগ নেই। ইসিকে ব্যবহার করে সকল ইউপি নির্বাচনে সরকার ইচ্ছেমতো কর্তৃত্ব করবে বলে মন্তব্য আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও কি আগেকার নির্বাচনগুলোর মতো প্রহসনের নির্বাচন হবে? এদেশের গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। তারা সুশাসন, এর অর্থ, সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ব্যাপক ওয়াকিবহাল না হলেও সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল নির্বাচনী পরিবেশ দেখতে চায়। আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ, রাজনৈতিক সমঝোতার পরিবেশ দেখতে চায়, যোগ্য নেতৃত্বের অধীনে স্থানীয় সরকারের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে চায়। এর অর্থ হচ্ছে গ্রামের সরল মানুষগুলো মূলত সুশাসনের সুফল পেতে চায়। সুশাসনে অনিয়ম, হিংসা-প্রতিহিংসা, হামলা, হানাহানি, জবরদস্তি, হুমকি কোন কিছুর স্থান নেই।
গণতান্ত্রিক সমাজে গণমানুষের প্রত্যাশিত নেতা হলেন একজন আপোষকামী, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ধারণকারী স্থানীয় যোগাযোগে আন্তরিক ও দক্ষ, অগ্রবর্তী ভাবনায় উদ্দীপ্ত, স্থানীয় ও জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কে সচেতন একজন ব্যক্তিত্ব। কিন্তু, আমাদের দেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের ইউপি চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাবে হয়ে উঠেন পরাক্রমশালী, চূড়ান্ত রায় প্রদানকারী, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদানকারী, জনবিচ্ছিন্ন এক মহান অধিকর্তা। জনগণ এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন চায়। দ্বিতীয়ত, গণতান্ত্রিক এই দেশটিতে নিয়মতান্ত্রিক সরকার পরিবর্তন দৃশ্যমান। এ ব্যবস্থায় রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় আইনি কাঠামোয়, কোন বিশেষ দল বা ব্যক্তি ইচ্ছা অনিচ্ছা বা নির্দেশে নয়। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন কতটুকু রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে তা নিয়ে জনগণ এখনও সন্দিহান। সন্দেহ থেকে মুক্তি পেতে দরকার আইনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বতন্ত্র কর্তৃতের স্বাধীনতা ও প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করা কোনভাবেই ক্ষমতা খর্ব করা নয়। তৃতীয়ত, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন সমস্যা নয়, সমস্যা হলো ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক একটি শক্তিশালী ‘নির্বাচন কমিশন’ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া। গণমানুষের দাবি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা দিয়ে সুশাসন বাস্তবায়ন করা যাতে মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত হয়। চতুর্থত, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্থানীয় সরকারকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক স্বাধীন ও সেবামুখী করতে হবে। কেন্দ্রীয় ক্ষমতার অযাচিত হস্তক্ষেপ মুক্ত করতে হবে। কারণ, সমাজের অবহেলিত, কম সুবিধা প্রাপ্ত মানুষদের অংশগ্রহণের, সেবা গ্রহণের সবচেয়ে সহজ এবং সরাসরি মাধ্যম হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। পঞ্চমত, আধুনিকায়নের জনপ্রিয় উক্তি ‘বদলে যাও বদলে দাও’ এর সুর ধরে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান সামন্তবাদী রাজনৈতিক মন ও এক কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা ছেড়ে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক মন ও পরিম-ল তৈরি করা হোক, রাজনৈতিক অসুস্থ পরিবেশ বদলে দেয়া হোক। যাতে একটি শক্তিশালী জাতীয় সরকারের পাশাপাশি অবাধ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচিত স্থানীয় সরকার গড়ে উঠতে পারে। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হোক এমনই একটি নির্বাচন।
ষ লেখক : স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিষয়ক পিএইচডি গবেষক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন