দুবাই কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের হাফেজ ত্বরিকুল ইসলাম
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২১তম দুবাই হলি কুরআন এ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগীতায় ১০৩ টি দেশের প্রতিযোগিদেরকে পরাজিত করে ১ম স্থান অর্জন করেছে হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত দনিয়া যাত্রাবাড়ীস্থ ঢাকার একাধিকবার বিশ্বসেরা পুরস্কারপ্রাপ্ত হিফজ মাদরাসা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র হাফেজ ত্বরিকুল ইসলাম। পুরস্কার হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় ৬০ লক্ষ টাকা, আন্তর্জাতিক সনদ গ্রহণ করেন দুবাইয়ের শাসক শেখ আহমাদ বিন রাশেদ আল মাখতুম এর কাছ থেকে, উপস্থিত ছিলেন সৌদির বাদশার পক্ষে বক্তব্য দেন সৌদি আরবের মক্কার গর্ভনর শেখ আহমদ বিন আব্দুল আজিজ বিন আলী শেখ মক্কার ইমাম ড.আব্দুলাহ আলী বাসপারসহ মিশর বাহরাইন ইয়েন সৌদ আরবসহ অনেক দেশের মেহমানগন ৬০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ছাড়াও আন্তর্জাতিক সনদ ক্রেষ্ট এ্যাওয়ার্ডসহ আরো অনেক উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন। ১০৩ টি দেশকে পরাজিত করে কুরআনের এ বিজয় বাংলার ১৭ কোটি জনতার। এ বিজয় বাঙ্গালী জাতির। উক্ত অনুষ্ঠানে বিচারক হিসাবে মিশর, বাহরাইন, সৌদি, দুবাই ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত হাফেজ ও ক্বারীগণ। এতে বিশ্ব মিডিয়া ও বাংলাদেশী বিভিন্ন মিডিয়া উপস্থিত ছিলেন। ত্বরিকের এ বিজয় বিশ্ব মিডিয়া সাড়া ফেলেছে। উলেখ্য কয়েক দিন আগে ও কুয়েতে বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় ৭০ টি দেশের হাফেজদেরকে পরাজিত করে নেছার আহমাদ আন নাছিরীর ছাত্র হাফেজ সাইফুর রহমান ২য় স্থান অর্জন করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ও আন্তর্জাতিক সনদ লাভ করে। অন্ধ হাফেজ আব্দুল করিম নামের আরো একজন হাফেজ ইরানে পুরষ্কৃত হন,গত দুই দিন আগেও জর্দানে বিশ্বের ৯০ টি দেশের সাথে কুরআন প্রতিযোগিতা করতে জর্দানে গিয়েছেন ফারহান হাবিব আওলাদ এছাড়াও এযাবৎ অত্র মাদরাসার ছাত্ররা সৌদিআরবে ৭ বার , মিশরে ৩ বার, আলজেরিয়া ২ বার, লিবিয়া ১ বার, ইরান ৫ বার, কুয়েত ১ বার, কাতার ১ বার, গাম্বিয়া ১ বার, বাহরাইন ১ বার, দুবাই ২ বার ও জর্দানে ৪ বার বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকার করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মানকে আলোকিত করেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এন টিভি, বাংলাভিশন, আর টিভি, মাছরাঙা টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মাহে রমজানে প্রচারিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় একাধিকবার ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জনকরে আসছে নিয়মিত। বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে সমুজ্জল করায় সৌদি সরকারের পাশাপাশি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বাংলাদেশে অত্যাধুনিক ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার রূপকার হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন নাছিরীর ও তার বিশ্ববিজয়ী হাফেজ ছাত্রদের হাতে। আপনার সন্তানকে বিশ্বজয়ী হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলতে যোগাযোগ করতে পারেন-০১৭১২০৫৪৭৬৩ ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী (দা.বা.)বলেছেন, ইলমে ওহীর শিক্ষাই হলো প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থা, আর এই শিক্ষাব্যবস্থা যতদিন অব্যাহত থাকবে ততদিন পৃথিবীও টিকে থাকবে। ইলমে ওহীর শিক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে দুনিয়াও ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতন চলছে। মুসলমানরা তাদের আসল পরিচয় ভুলে দুনিয়ার চাকচিক্যে ডুবে রয়েছে। ঈমানী বলে বলীয়ান হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে মুসলমানদের কেউ হঠাতে পারবে না। মুসলমানদের ঈমান মজবুত করে আখেরাতের জিন্দেগি গঠন করতে হবে। মুসলমানদেরকে যেনতেনভাবে জীবন পরিচালনা করলে চলবে না, ঈমানের সাথে মৃত্যু না হলে জীবনের কোনো মূল্য নেই। ঈমানের সাথে মৃত্যু হতে চাইলে তাকওয়ার ভিত্তিতে জীবন চালাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইলমে নববীর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত কওমী মাদরাসাগুলো দুনিয়াব্যাপী মানুষকে তাকওয়ার উপর চলার পথ প্রদর্শন করছে। অনেকেই মাদারিসে কওমীকে গালমন্দ করে, এটা তাদের ঈমানের জন্য চরম ক্ষতিকর। এজন্য ঈমানহারা হয়ে কুফরীর মৃত্যুও হতে পারে। সাহাবিয়্যাত (রা.) মহিলা মাদরাসা দারুল ঊলুম দেওবন্দের নকশে কদমে পরিচালিত একটি খালেস দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এর সাথে সম্পৃক্ততা রাখতে অভিভাবকসহ সকলের প্রতি আহŸান জানান। সম্প্রতি সাহাবিয়্যাত (রা.) মহিলা মাদরাসার উদ্যোগে রাজধানীর হাজারীবাগস্থ টালি অফিস মোড়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন