শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হাতিয়ার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ

বিশেষ সংবাদদাতা, নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দ্বীপ বেষ্টিত হাতিয়া উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে হচ্ছে সী-ট্রাক। এছাড়া শীত মৌসুম অর্থাৎ নদী শান্ত থাকলে মাঝারি আকারের ট্রলার ও স্পীড বোট যাত্রী বহন করে। কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময় বর্ষা কিংবা নদী অশান্ত থাকলে যাত্রীরা সী-ট্রাকের মাধ্যমে যাতায়ত করে থাকে। হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটে বিআইডবব্লিউটিএ পল্টুনের স্থাপন করলেও নলচিরা ঘাটে পল্টুন স্থাপন করা যাচ্ছেনা। হাতিয়া উপজেলায় যাতায়তকারী হাজার হাজার যাত্রীর নিত্যকার দুর্ভোগ।
নলচিরা নদীঘাট থেকে সী-ট্রাকে উঠানামা করতে গিয়ে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। আবার বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে সমুদ্র উত্তাল থাকলে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। এটাই হচ্ছে হাতিয়াদ্বীপে যাতায়তকারী হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগের চালচিত্র। এবাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সী-ট্রাক এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, নলচিরা ঘাটে পল্টুন স্থাপনের লক্ষে বিআইডবব্লিউটিএ প্রকৌশলীরা একাধিবার নলচিরা ঘাট ও তৎসংলগ্ন এলাকার অবস্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তারা নলচিরা ঘাট এলাকায় উত্তাল ঢেউ ও তীব্র স্রোতপ্রত্যক্ষ করেন।
পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নদীর ঢেউ ও তীব্র স্রোতবাহিত এলাকায় পল্টুন স্থাপন নিরাপদ নয়। জোয়ার ও স্রোত তোড়ে পল্টুন হেলে পড়া কিংবা জোয়ারে ভেসে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নলচিরা ঘাটে পল্টুর স্থাপন সম্ভবপর নয় বলে প্রকাশ। হাতিয়ার কয়েকজন যাত্রীর সাথে আলাপকালে তারা ইনকিলাবকে জানান, চেয়ারম্যান ঘাটের চাইতে নলচিরা ঘাট বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সাগরের জোয়ার হাতিয়া দ্বীপের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে নলচিরা ঘাট অংশে প্রথমে আঘাত করে। এতে করে বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তাল থাকার পাশাপাশি ঘরবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জমিজমা মেঘানায় বিলীন হয়। এক কথায় নলচিরা ঘাট এলাকা জোয়ার ও ভাটার সময় ঢেউ ও স্রোত থাকে। এব্যাপারে জানতে চাইলে হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস জানান, নলচিরা ঘাটের অবস্থান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিআইডবব্লিউটিএএ কর্মকার্তারা কয়েকবার এলাকাটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু ঝুঁকি থাকায় পল্টুন স্থাপন সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, হাতিয়াদ্বীপ ভাঙনরোধে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ৮ কিলোমিটার এলাকায় বøকবাঁধ নির্মাণের লক্ষে ২টি ডিপিপি প্রস্তুত ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমান রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে। এতে করে হাতিয়াদ্বীপের উত্তরাঞ্চল নদী ভাণন থেকে রক্ষা পারে অপরদিকে হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন