বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপ সম্পাদকীয়

বিপুল জনসমাগম দেখে উজ্জীবিত বেগম জিয়া এবং বিএনপি : নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুইটি জনসভা। একটি ১২ নভেম্বর রবিবার। আরেকটি ১৮ নভেম্বর শনিবার। দুইটি জনসভায় কি অদ্ভুত কন্ট্রাডিকশন। একটি জনসভায় একের পর এক বাসে করে মানুষ আসছে। সেই জনসভার জন্য পাঁচদিন আগে থেকে মাইক্রোফোন যোগে সারা ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে পাবলিসিটি দেওয়া হচ্ছে। সভাস্থলে ২৫ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে ভিআইপি শ্রোতাদের বসার জন্য। ঢাকার আশে পাশের জেলাগুলো থেকে বাস যোগে হাজার হাজার মানুষ আনা হচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ অনুযায়ী স্কুল-কলেজের প্রধানদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের ছাত্র ছাত্রীদের সভাস্থলে পাঠিয়ে দিতে। না পাঠিয়ে দিলে স্কুল-কলেজের কর্মকর্তাদের চাকরি যাবে। ব্যাংক সমূহে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের স্টাফদের সভাস্থলে পাঠাতে হবে। এই আদেশ অমান্য করলে তাদের পাঁচদিনের বেতন কাটা যাবে। মির্জা ফখরুল এই আদেশ পালনের সাক্ষী হয়েছেন নিজেই। তিনি একাধিক স্কুলে দেখেছেন যে স্কুলের সামনে অপেক্ষমান বাসে ছাত্রছাত্রীদের তোলা হচ্ছে।
চিত্রের অপর পিঠ ১২ নভেম্বর রবিবার। ঐদিনের জনসভা উপলক্ষে বিরাজ করছিল সম্পূর্ন ভিন্ন চিত্র। মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ প্রভৃতি ঢাকা মহানগরসংলগ্ন জেলা থেকে বাসে করে ঐ সভায় লোক আসছিলেন। এদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ মানুষ। প্রায় সমস্ত বাস পুলিশ আটকিয়ে দেয়, বাস থামিয়ে পুলিশ বাসের মধ্যে ওঠে এবং যখন বুঝতে পারে যে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেগম জিয়ার জনসভায় যাচ্ছে, তখন তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। পত্র পত্রিকাতেই খবর বেরিয়েছিল যে, ঢাকা মহানগরীতে আওয়ামী লীগ তথা সরকার গণপরিবহণ অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দেয়। ঐদিন অবস্থাটি এমন হয়েছিল যে, সরকার যেন নিজেই হরতাল করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, বিএনপির জনসভায় যেন লোকজন আসতে না পারে। অনেক জায়গায় যারা মিছিল করে আসছিল তাদেরকে পুলিশ আসতে বাধা দেয়। কিন্তু এতো কিছু করেও বেগম জিয়ার মিটিংয়ে আগুয়ান মানুষকে ঠেকানো যায় নাই। তাই সেদিন তার জনসভায় ছিল উপচে পড়া মানুষ। পর্যবেক্ষক মহলের মন্তব্য এই যে, সরকার যদি মাত্র দুইদিন আগে জনসভার অনুমতি না দিত, যদি সাতদিন আগে জনসভার অনুমতি দেওয়া হত, যদি প্রচার উপলক্ষে মহানগরীর অলিতে গলিতে এবং রাস্তাঘাটে মাইক ব্যবহারের পারমিশন দেওয়া হতো তাহলে সেদিন জনসভা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হতো।
দুইটি জনসভার অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার যে দুই রকম আচরণ করলো তার ফলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলো কোথায়? সকলের জন্য সমান সুযোগ না দিলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি ভাবে ? প্রিয় পাঠকদের হয়তো স্মরণ আছে যে ২০১২ সালেও বেগম জিয়ার কর্মসুচি উপলক্ষে এর চেয়েও ন্যাক্কারজনক পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। তখন বেগম জিয়ার সমাবেশে আগমন বন্ধ করার জন্য শুধু বাস সার্ভিস নয়, লঞ্চ, স্টিমার ও রেল সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছিল। বলতে গেলে সরকার নিজেই সারাদেশে অঘোষিতভাবে হরতাল পালন করেছিল। বিরোধীদলের কন্ঠ রোধের এই সরকারী নীতি সবসময় অব্যাহত ছিল। এসব কারণে এবং গণতন্ত্রবিরোধী আরো অনেক সরকারী পদক্ষেপের কারণে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছিল। এখনও যদি সরকার বিরোধীদলকে স্তব্ধ করার নীতি অব্যাহত রাখে তাহলে আগামী নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিরোধী দলসমূহের অংশগ্রহণ অনিশ্চত হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই তার আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিএনপি স্পষ্ট বলেছে যে, বর্তমান সরকার অর্থাৎ শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। আরো বলেছে যে চক্রান্ত করে বিচারের প্রহসন করে বেগম খালেদা জিয়াকে যদি নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা হয় তাহলে বাংলার মাটিতে সেই নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।
বিদেশীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক। তারা আরো সাধুবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, সবদলই নির্বাচনে আসুক এবং মানুষ ভয়ভীতি ছাড়াই ইলেকশনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাক। কিন্তু ইতোমধ্যেই যে রকম ধর পাকড় শুরু হয়েছে, যে রকম অন্যান্য দলকে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, সেগুলো দেখে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, নির্বাচন এবারও ২০১৪ সালের মত অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। আর তেমন একটি পরিস্থিতির উদ্ভব যদি ঘটে তাহলে আবার হয়তো ২০ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করবে। সে ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে জোর করে যেভাবে একদলীয় নির্বাচন করা হয়েছে ২০১৮ সালে হয়তো সেটি আর করা সম্ভব হবে না।
\দুই\
এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন মহল এবং শিক্ষিত সমাজেরও অনেকে মনে করতেন যে, যত কথাই বলুক না কেন, বিএনপি শেষ পর্যন্ত ইলেকশনে যাবেই। দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৯৫ শতাংশই সরকারপন্থী। বিগত আড়াই বছর হলো বিএনপি তথা বিরোধীদলের তরফ থেকে কোনো আন্দোলন তো নাইই, তাদের কোনো নড়া চড়াও নাই। তাই প্রচার করা হচ্ছিল যে বাংলাদেশে কোনো বিরোধীদল নাই। এ কথাটি মোটামুটি সত্য যে, বিগত আড়াই বছর ধরে সরকার ফাঁকা মাঠে গোল করে যাচ্ছিল। এই সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামীপন্থী মিডিয়া সুসংগঠিতভাবে প্রচার করছিল যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি বিরাট ভুল করেছে এবং সেটি এখন তারা বুঝতে পেরেছে। তাই এবার তারা আর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে না। অনেকে এটা বিশ্বাসও করেছিলেন। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ হঠাৎ বলে ওঠেন যে, যত বাধাই আসুক না কেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবেই। কোনো বাধাই বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না। মওদুদ আহমেদের এই বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী ঘরানার অনেকে হতভম্ব হয়ে যান। কারণ তার আগে থেকেই মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সহ অন্যান্য নেতা বলে আসছিলেন যে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। সহায়ক সরকার বলুন আর যাই বলুন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এমন একটি পটভুমিকায় মওদুদ সাহেব কিভাবে ঐ কথাটি বললেন? তার ঐ মন্তব্যের পেছনে কি দলীয় প্রধান বেগম জিয়ার অনুমোদন ছিল? তিনি কি ঐ কথা বলার জন্য অথারাইজড ছিলেন?
যাই হোক, এসবের পটভুমিতে গত ১৮ নভেম্বর শনিবার মহাসচিব মির্জা ফখরুল যা বলেছেন সেটি বিশেষভাবে প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, বিএনপি অংশ না নিলে আগামীতে কোনো নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, সমস্ত রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং এই সংসদকে ভেঙে দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি ফলপ্রসূ ও কার্যকরী নির্বাচন দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সমান সুযোগ সৃষ্টির দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন থেকে সব কিছু আওয়ামী লীগ সরকার করে যাবে। তারা মহাসুখে হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন। আর আমরা একটা মিটিংও করতে পারবো না, রাস্তায় দাঁড়াতেও পারবো না, একটা সত্য কথা বলতেও পারবো না, আমরা কোর্টের বারান্দায় ঘুরবো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সপ্তাহে সপ্তাহে হাজিরা দিতে হবে, আমাদের সব নেতা-কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে- এভাবে নির্বাচন হবে না। লেভেল ফিল্ডে এখন থেকেই সব রাজনৈতিক দলকে তাদের কাজ করতে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এখন ক্ষমতায় আছেন কিছুদিনের জন্য। খুব আনন্দিত হচ্ছেন, বগল বাজাচ্ছেন যে আমরা তো ক্ষমতায় এসে যাবো। কোনো চিন্তা নেই, বিএনপি না আসলে না আসবে। বিএনপি না আসলে হবে না। এসব কথা আর গেলাতে পারবেন না। এদেশের মানুষকে আর ওই ধরনের নির্বাচন গেলাতে পারবেন না। এদেশের মানুষ অবশ্যই আগামী নির্বাচনে সবগুলো দলকে নির্বাচনে দেখতে চায়। এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে একটা সত্যিকার অর্থেই সুন্দর পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যেতে চায়। এদেশের মানুষ তারা নিজেরা নিজের ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে চায়, সরকার গঠন করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারি দল জানে যে, জনগণ তাদের সাথে নেই। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে স্কুল-কলেজ এবং ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে সমাবেশে আসতে হবে। না আসলে ব্যাংকে কর্মরতদের চাকরি চলে যাবে ও বেতন কাটা যাবে। তিনি বলেন, আজকে (গত শনিবার) বড় একটি সমাবেশ হচ্ছে। এটা নাকি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সমাবেশ। ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ইউনেস্কোর পুরস্কারের জন্য এই সমাবেশ। ভালো কথা। কিন্তু প্রত্যেকটি স্কুল ও কলেজকে চিঠি দিয়েছেন, না আসলে চাকরি থাকবে না। ব্যাংকের লোকজনকে চিঠি দিয়েছেন, না আসলে ৫ দিনের বেতন কাটা যাবে। সবাইকে এই কথা বলে এখানে নিয়ে আসছেন। সকালে দেখে এসেছি, বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদেরকে সমাবেশে নেওয়া হচ্ছে।
\তিন\
বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর এই ১ মাস ৩ দিন অর্থাৎ ৩৩ দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ঢাকায় অবতরণের পর বিমান বন্দরে লক্ষ জনতার প্রাণ ঢালা সংবর্ধনা, কক্সেসবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার পথে শত শত কিলো মিটার মহা সড়কে লক্ষ লক্ষ মানুষের অভিনন্দন এবং সব শেষে গত ১২ ডিসেম্বর রবিবার সরকারের শত বাধা বিপত্তি সত্তে¡ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে লক্ষ মানুষের আগমন বিএনপির সর্ব শ্রেণীর নেতা ও কর্মী এবং স্বয়ং নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিপুলভাবে উজ্জীবিত করেছে। এভাবে উজ্জীবিত হওয়ার ফলে বেগম জিয়া জোট এবং দলের মাঝে একের পর এক গ্রুপ মিটিং করে চলেছেন। তিনি ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। সেখানে বলেছেন যে, যদি নির্বাচন করতে হয় তাহলে তারা একসাথে নির্বাচন করবেন। যদি রাজপথে নামতে হয় তাহলে একসাথে নামবেন। তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন যে, বর্তমান সরকার অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপদেষ্টাদের সাথেও বৈঠক করেছেন। তাদেরকেও বলেছেন এবং জোট নেতৃবৃন্দকেও বলেছেন যে, আপনারা দুই ধরনের প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিন, আবার আন্দোলনের জন্যও প্রস্তুতি নিন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে সেই সরকার আদায় করে নেওয়ার জন্য রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন।
বিগত আড়াই বছরে জন সমর্থন যে কি বিপুল অংশে সরকারের পাল থেকে সরে গিয়ে বিরোধীদল, বিশেষকরে বেগম জিয়ার পালে লেগেছে সেটি মনে হয় বেগম জিয়া নিজেও বুঝতে পারেননি। তাই লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর তিনটি সমাবেশ দেখে তিনি নিজেই সাংগঠনিক তৎপরতা এবং পুনর্গঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। শোনা যাচ্ছে যে, তিনি ৮ টি বিভাগীয় শহরে জনসভা করবেন। ৮টি শহরে করা সম্ভব না হলে অন্তত ৪টি বড় শহর, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীতে জনসভা করবেন। এছাড়া আসন্ন রংপুর পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণাতেও তিনি অংশগ্রহণ করবেন। এই প্রত্যেকটি শহরে মোটর শোভাযাত্রা যোগে তিনি গমন করার পরিকল্পনা করছেন। এর ফলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা এক দিকে যেমন তিনি সরেজমিনে দেখবেন, অন্যদিকে সেটি হবে তার জনপ্রিয়তার ম্যাসিভ শো-ডাউন।
বেগম জিয়া তার অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জবানবন্দি দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৫ কিস্তিতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। পরবর্তী কিস্তি হবে ষষ্ঠ কিস্তি এবং এটিই হবে শেষ কিস্তি। আদালত প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়েও তিনি বলেছেন যে, একতরফা নির্বাচন তিনি মেনে নেবেন না। এসব থেকে একটি বিষয় পরিস্কার হয় যে, ২০১৪ সালের নির্বাচন ২০ দলীয় জোট শুধুমাত্র বর্জন করেছে, কিন্তু প্রতিরোধের কোনো চেষ্টা করেনি। এবার যদি সরকার ২০১৪ সালের এক তরফা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায় তাহলে সেটি বিরোধীদল সম্মিলিতভাবে এবং সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ করবে বলে কানা ঘুষা রয়েছে।
এসবের পটভূমিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে যে, আগামী নির্বাচনকে যত সোজা মনে করা হচ্ছে তত সোজা নাও হতে পারে। যদি বিএনপি তথা ২০ দলের ন্যূনতম দাবিগুলি পূরণ করা না হয় তাহলে আগামী নির্বাচন ঝড়ের কবলে পড়তে পারে।
Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Moize Uddin ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১:৪৯ এএম says : 0
সংলাপ হওটায় উভয়ের জন্য শ্রেয় কারণ মানুষ বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়
Total Reply(0)
Didarul Alam ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১:৪৯ এএম says : 0
নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে মনোনয়ন বানিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং হেরে গেলে সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে - জাতি আগে এসব সমস্যার সমাধান চায়। দুই দলের প্রতিযোগিতা থেকে জাতীর কোন অর্জন নাই বরং জনসংখ্যার বোনাস সময়ের মুল্যবান সুযোগ নষ্ট হচ্ছে ।
Total Reply(0)
Màhbub Alam ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:০২ এএম says : 0
সরকারই বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।সরকার যদি বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে গুম,খুন,মামলা হামলা অতিমাত্রায় না করতো,তাহলে জনগনের কাছে বিএনপির জনপ্রিয়তা এত বাড়তো না।আগামীতে ও সরকার যদি বিএনপি কে সভা সমাবেশ করতে না দেয় বা বিএনপির নেতা কর্মীদের মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করতে যায়,তাতে সরকারই বেশী ক্ষতিগ্রস্হ হবে।
Total Reply(0)
সিরাজ ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:০৪ এএম says : 0
বি এন পির জনপ্রিয়তার আকাশ ছোয়া করেছে আওয়ামিলিগ।
Total Reply(0)
Habibur Rahaman ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:০৫ এএম says : 0
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়া হলে আমি একশ পারসেন্ট সিউর নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ হবে।
Total Reply(0)
Ahmed Montu ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:০৫ এএম says : 0
CEC should respect the demand of majority parties as discussed with Cec earlier. Army must need be deployed.
Total Reply(0)
ইয়াসমিন ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
বিএনপি তথা ২০ দলসহ ৫ জানুয়ারির মত অন্যান্য দলগুলো আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহগণ না করলে দেশে বিশাল সংকট তৈরি হবে।
Total Reply(0)
রিমন ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৬ এএম says : 0
ঠিক বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে যত সোজা মনে করা হচ্ছে তত সোজা নাও হতে পারে।
Total Reply(0)
কাজল ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৯ এএম says : 0
সুন্দর এবং যৌক্তিক একটা লেখা। বিষয়টি নিয়ে সকল মহলের ভাবা উচিত
Total Reply(0)
তুষার ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৪৯ এএম says : 0
এদেশের মানুষ তারা নিজেরা নিজের ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে চায়, সরকার গঠন করতে চায়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন