জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে
ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
সাজ্জাদ ওরফে শামস ওরফে আরাফাতকে (২৪) গত শুক্রবার সাভারের আমিনবাজারের বরদেশী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে হাজির করে পুলিশ রিমান্ড চাইলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল শনিবার আরাফাতকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈদ উদ্দিন সিদ্দিকী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাজ্জাদ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) অপারেশন শাখার সদস্য। তার প্রকৃত নাম মো: আরাফাত রহমান, আর সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের সংগঠনের বড় ভাইয়ের (জিয়া) নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যাকান্ডে তারা অংশ নেয়। সে জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকান্ডসহ পাঁচটি হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জাহিদুল তালুকদার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সাজ্জাদ তাদের সংগঠনের আরেক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার পড়াশোনা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। সাজ্জাদকে ধরতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সাজ্জাদ অভিজিৎকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিল। ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, আরাফাত রহমান জানিয়েছে, মেজর জিয়ার নির্দেশ ও পরিচালনায় অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছিল সে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের কাছে দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় নিহত হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন। অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে তারা দেশে এসেছিলেন। বইমেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তারা হামলার শিকার হন। অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন