শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অস্ত্র-গোলাবারুদসহ জঙ্গি ও কেএনএফের ১০ সদস্য গ্রেফতার

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির দুর্গম এলাকায় অভিযান

মো. সাদাত উল্লাহ, বান্দরবান থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে নয়টি বন্দুক, ৫০ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৬২টি কেইস, ছয়টি হাতবোমা, ১টি কার্তুজ কেইস, দুটি কার্তুজ বেল্ট, একটি দেশীয় পিস্তল, ওয়াকিটকি সেট, পোশাক, কুকি চিন লিখা ১০টি মানচিত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ১০ জনের মধ্যে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দ আশ-শারক্বীয়ার ৭ জন ও পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৩ সদস্য রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের হল রুমে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সৈয়দ মারুফ আহমদ, ইমরান হোসোইন, কাওসার, জাহাঙ্গীর আহমদ, ইব্রাহিম, আবু বক্কর সিদ্দীক, রুফু মিয়া এবং জৌথান সাং বম, স্টিফেন বম ও মাল সম বম।
খন্দকার আল মঈন জানান, সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া দেশের ১৯ জেলার ৫৫ তরুণের তালিকা প্রকাশ করে র‌্যাব। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা বান্দরবান ও রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে তথ্য পায় র‌্যাব। পাহাড়ে ওই সংগঠনের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল কেএনএফ। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি বাজার এলাকায় র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে র‌্যাব ৭ ও র‌্যাব ১৫’সহ যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দ আশ-শারক্বীয়ার সাতজন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনের তিনজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
কেএনএফের সঙ্গে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দ আশ-শারক্বীয়ার যোগাযোগের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১১ সালের ২৮ মার্চ বান্দবানের থানছির বলিপাড়ার কলাইপাড়া এলাকা থেকে তৎসময়ের জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা ও বর্তমান জামাতুল আনসার ফিল হিন্দ আশ-শারক্বীয়ার আমির শামিন মাহফুজ ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাহফুজ জামিনে বেরিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দ আশ-শারক্বীয়া গড়ে তোলেন। ২০২০ সালে কেএনএফের প্রধান নাথান বমের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০২১ সালের প্রথম থেকে তার নব্য জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে নাথান বম তিন বছরের একটি চুক্তি করেন। এ চুক্তির আওতায় তাদের অর্থের বিনিময়ে আশ্রয়, খাবার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল কেএনএফ।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কারণে সম্প্রতি বান্দরবানের তিন উপজেলায় পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করে দেয় প্রশাসন। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন