শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঘন কুয়াশা আর হাঁড়কাঁপানো শীতে কাপছে গ্রামীণ জনপদ

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ময়নুল হক, ডোমার (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীতে শীত জেঁকে বসেছে। হাঁড়কাঁপানো ঠান্ডায় কাপছে উত্তরের জনপদ । ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার গ্রামীন জনপদের জীবনযাত্রা। কয়েকদিনের টানা শৈত্য প্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন জেলার নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ আর শিশুরা। ঘন কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতের তীব্রতা আরো একধাপ বেড়ে গেলে রাস্তায় হাটতে গেলে মানুষজনের শরীর শিশিরপাতে ভিজে একাকার হয়ে যায়। কুয়াশার সাদা মেঘের ভেলা আশপাশে কিছুই দেখা যায় না। পৌষের হিমেল হাওয়ায় হিমালয়ের কাছে এ জেলায় ঘনকুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। এ জনপদের গ্রামের প্রায় বাড়িতেই আগুনের কুন্ডলী জ্বলছে।
হিমালয়ের খুব কাছাকাছি থাকায় উত্তরের জেলা নীলফামারীতে শীতের প্রকোপ শুরু হয় একটু আগে ভাগেই। তবে এবারের শীতের আগমন একটু দেরীতে হলেও দাপট যেন কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই চলছে দিনভর ঘন কুয়াশা, সাথে যোগ হয়েছে কনকনে ঠান্ডা হিমেল বাতাস । আর এতে নাকাল হয়ে পরেছেন জেলার কয়েক লাখ সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ । অন্যদিকে প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের কারনে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে জেলার গ্রামীন জনপদের জীবন যাত্রা। কনকনে শীত উপেক্ষা করে সাধারন মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম করলেও অতিরিক্ত কুয়াশা আর প্রচন্ড ঠান্ডা প্রভাব ফেলেছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের। হত-দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে খর খুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কিংবা পড়নের পাতলা কাপড়টুকু দিয়েই শরীরটাকে একটু উত্তাপ দেয়ার চেষ্টা করলেও জেলার নি¤œবিত্তরা তাকিয়ে আছেন সরকারী সাহায্য আর সহযোগিতার আশায়। বিশেষ করে ভারতের হিমালয় পর্বত এলাকার দার্জিলিং থেকে নীলফামারীর ৫৫ কিলোমিটার সন্নিকটে হওয়ায় হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় অক্টোপাসে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন