বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সকল ফিচার

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্র:- বেনা করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে; সেগুলো কি?
উ:- ১. ওযু করা ওয়াজিব হয়ে যায়, এরকম হদস অনিচ্ছাসত্তে¡ও ঘটে গেলে। ২. নামাযীর শরীরেই ওযু ভঙ্গের কারণ ঘটতে হবে; বাইরে থেকে কোন কিছু লেগে শরীর অপবিত্র হলে নামায ছেড়ে দিতে হবে। পুনরায় ঐ নামাযের উপর বেনা করা যাবে না। ৩. এরকম হদস হতে হবে যা সচরাচর ঘটে থাকে। অজ্ঞান বা অসুস্থ হয়ে নামায ছেড়ে দিলে, আর বেনা করা যাবে না। ৪. হদস অবস্থায় কোন রোকন অতিবাহিত হতে হবে। ৫. আসার পথে কোন রোকন (যেমন কিরাত পড়া) আদায় করা যাবে না। ৬. এর মধ্যে নামাযাবস্থার পরিপন্থী কোন কাজ করা যাবে না। ৭. প্রয়োজনাতিরিক্ত পথ চলতে পারবে না। ৮. বিনা কারণে সময় নষ্ট করা যাবে না। ৯. পূর্বের কোন হদসের কথা স্বরণ হয়ে গেলে আর বেনা করা চলবে না। ১০. ইমাম এবং মুক্তাদীর মধ্যে আড়াল হতে পারবে না।
প্র:- মুক্তাদীদের অপছন্দ সত্তে¡ও কোন ইমামের ইমামতি করা কেমন?
উ:- ধর্মীয় কোন কারণে কোন ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি বা অনাস্থা সৃষ্টি হলে, তার জন্যে ইমামতি করা মাকরূহে তাহরীমী। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক বা বৈষয়িক কারণে ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্র:- যদি কোন নামাযের শেষে মুক্তাদীগণ বলেন, তিন রাকাত; আর ইমাম বলেন, চার রাকাত হয়েছে, তবে কার কথা গ্রহণযোগ্য হবে?
উ:- এমতাবস্থায় ইমাম যদি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন যে, চার রাকাতই হয়েছে, তবে তার কথাই গৃহীত হবে। আর যদি তার মধ্যে কিছুটা সন্দেহ-সংশয় থাকে যে, চার না তিন, তাহলে মুক্তাদীগণের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় চার রাকাত নামায জামাআতের সাথে আদায় করে ফেলতে হবে। -মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন