হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : সোহেল নামের নি:সন্তান এক যুবক। ছয় বোনের এক ভাই। দুই বোনকে বিয়ে দিলেন আর সেই বোনেরা হলেন বিধবা। সংসারের লাগাম ধরতে গেলেন সউদী আরবে ফ্রি ভিসায়। আকামা পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে মারা গেলেন। লাশ পড়ে আছে হাসপাতালে ফ্রিজে। লাশ আনতে প্রয়োজন চার লাখ টাকা। বৃদ্ধ বাবা ৩০০ টাকা মজুরিতে মাঠে কাজ করেন। সেই বাবা কিভাবে চার লাখ টাকা দিয়ে সন্তানের লাশ আনবেন। এ পরিবারটির অবস্থান চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের তফদার বাড়িতে।
সরেজমিন তফদার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, পুরো পরিবারে বইছে শোকের ছায়া। সোহেলের বাবা সামছুল হক গেছেন অন্যের জমিতে কাজ করতে। পরিবারে ১০ সদস্যের অধিক সদস্য থাকলেও দিনে একবেলা ঠিকমতো চুলায় হাড়ি বসছে না। অনাহারে আর্ধাহারে কাটে এই পরিবারের দিন। সোহেলের বাবার ভাঙা ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ঘর থেকে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলেন বৃদ্ধ মা খুকি বেগম। ঘরের দরজায় সাদা আর ময়লা কাপড়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে সোহেলের নি:সন্তান স্ত্রী ফাতেমা বেগম। বোনদের মধ্যে কেউ চুলার সামনে, কেউ ঘরে শুয়ে, কেউ আবার দরজার কাঠের (দৌড়) ওপর ভাবলেশহীনভাবে বসে আছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী বলেন, এই পরিবারের লাশটি সউদী আরব থেকে দেশে আনতে আমার পরিষদের পক্ষ থেকে কাজগপত্র সংক্রান্ত যেটুকু সহযোগিতা করার দরকার তার সবটাই করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন