শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে এম ছানোয়ার হোসেন: জেলার খাদ্যশস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যূষিত তাড়াশ উপজেলায় ইরি-বোরো চাষাবাদের ভরা মৌসুমে ফাল্গুনের শুরু থেকে ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। গভীর নলক‚প স্থাপনের পরও সেচ কাজে আশানুরূপ পানি না পেয়ে গর্তে নলক‚প বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন অনেকে। সরেজমিন দেখা গেছে, ১০ ফুট পর্যন্ত মাটি গর্ত করে সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি তোলার প্রাণান্তর চেষ্টা করছেন কৃষক। আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নওগাঁ, মাগুড়া বিনোদ ও সগুনা ইউনিয়নে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠেই নয়, এ তিনটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের নলক‚পে পানি সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বাড়ির আঙিনা থেকে ১৮-২০ ফুট নিচে গভীর নলক‚প বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন।
কৃষক আজগর আলী, রহিচ উদ্দিন, জমশের প্রামানিক, আতাহার হোসেন, চান মিঞাসহ অনেকে জানান, ১০০-১২০ ফুট গভীরে পাইপ বসিয়ে ঠিকঠাক মতো পানি পাচ্ছেন না তারা। প্রতি বছর আশঙ্কা জনকহারে ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ১৫-২০ বছর আগেও ৭০-৮০ ফুট মাটির নিচ থেকে এসব এলাকায় বেশ পানি পাওয়া যেত। এ সময় তারা আরো জানান, সেচযন্ত্রে পানি কম ওঠায় ইরি-বোরো চাষাবাদে তাদের জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে। প্রতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে পূর্বে ১৫-১৬ লিটার জ্বালানি তেল খরচ হলেও বর্তমান সময়ে তা ২৪-২৮ লিটারে গড়িয়েছে। আগের তুলনায় সময়ও লাগছে বেশি। আর বসতবাড়িতে পানি সমস্যায় প্রতিবছরই তাদের নলক‚প আলাদা-আলাদা স্থানে স্থাপন করে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদী মৃত প্রায়। অসময়ে শুকিয়ে যাচ্ছে ডোবা-নালা ও খাল-বিল । ভু-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষকের সেচকাজে সমস্যাটি সামপ্রতিক সময়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে । তবে ভারি বৃষ্টি হলে পানি স্তর আবার উপরে উঠে আসবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন