স্পোর্টস রিপোর্টার : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ভাগ্যে জুটেছিল একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। ফেব্রুয়ারির মিরপুর টেস্টে উইকেট উৎসব করেছেন বোলাররা। প্রত্যাবর্তনের প্রথম সেশনেই আবদুর রাজ্জাক চমকে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু এমন বোলিং-বান্ধব উইকেট ঠিক আইসিসির নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি বলে জানানো হয়। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করে। তবে বিসিবির সেই আপিলে ইতিবাচক কোনো ফল মিলল না। বহালই থাকল ডিমেরিট পয়েন্ট।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্ট। ১০ মার্চ মাত্র আড়াই দিনেই টেস্টের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ ৪০ উইকেট পড়েছে এই সময়ে, রান উঠেছিল মাত্র ৬৮১। ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটে ছিল না কিছুই। এমন উইকেটকে তাই আইসিসি ‘গড়পড়তার নিচে’ উল্লেখ করে এবং শাস্তি হিসেবে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়।
ম্যাচ রেফারি ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন, ম্যাচজুড়ে ছিল অসমান বাউন্স ও অধারাবাহিক টার্ন। বিসিবি আপিল করলে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পড়ে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ্রি অ্যালারডাইস এবং ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলের ওপর। তারা ম্যাচ রেফারির দেয়া প্রতিবেদন সঠিক বলেই রায় দিয়েছেন। ফলে শাস্তিটি বহাল রাখছে আইসিসি।
গত ৪ জানুয়ারি করা আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো ভেন্যু পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেই ভেন্যু ১২ মাসের জন্য যে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে যোগ্যতা হারাবে। এর আগে সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে বাজে আউটফিল্ডের জন্য মিরপুর পেয়েছিল ‘পুওর’ রেটিং। দ্বিতীয়বারের মতো ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন