শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শজনে ডালে ফুটেছে ফুল : আগাম বিক্রি শুরু

চাষ বাড়াতে গাছের ডাল পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়

| প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে মো. মনসুর আলী :
সান্তাহারে শজনে গাছের ডালে ডালে ফুটেছে ফুল। গাছে গাছে ফুল দেখার পর শজনে ডাটার বাম্পার ফলনের আশায় বাড়ি বাড়ি ও বাগানে বাগানে গিয়ে আগাম গাছের শজনে কিনছেন মৌসুমী শজনে ব্যবসায়ীরা। আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আগাম গাছ কেনা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এবার উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌরশহর এবং এর আশপাশ গ্রাম-গঞ্জে সবখানে গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণে শজনের ফুল ফুটেছে। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে শজনে ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মুখরোচক ও পুষ্টিগুণে ভরপুর শজনে ডাটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে সবজির দাম বেশি। ফলে এবার শজনের দামও গতবারের চেয়ে এবার একটু বেশি হতে পারে। অন্যান্য সবজির চেয়ে শজনে ডাটা পুষ্টিগুণ ও স্বাদে বেশি হওয়ায় যে কোনো বয়সের মানুষ শজনে খেতে ভালোবাসেন। চিকিৎসকদে মতে, শজনে সবজিতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ আয়রণসহ প্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ-বি-সি-সমৃদ্ধ শজনে ডাটা মানদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে শজনে ডাটা ওষুধি সবজি হিসেবেও ব্যাপক সমৃদ্ধ। এ ছাড়া গাছের ছাল এবং পাতা রক্ত আমাশয়, পেটের পীড়া ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ কার্যকর ভ‚মিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শজনে ডাটা প্রধানত দুই প্রজাতির। এর মধ্যে এক প্রজাতির বছরে তিন থেকে চারবার পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এর নাম রাইখজ্ঞন।
শজনে গাছ যে কোনো পতিত জমি, পুকুর পাড়, রাস্তার বা বাঁধের ধারে, আঙ্গিনা এমনকি শহর-বন্দরের যে কোনো ফাকা জায়গায় লাগানো যায়। এর কোনো বীজ বা চারার প্রয়োজন হয় না। গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেই শজনে গাছ জন্মায়। শজনে গাছের কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। অযন্তে-অবহেলায় প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে গাছ। বড় ও মাঝারি ধরনে একটি গাছে ছয় থেকে আট মণ পর্যন্ত শজনে পাওয়া যায়। বিনা খরছে অধিক আয় হওয়ায় অনিকেই বাণিজ্যিকভাবে শজনে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে আদমদীঘি উপজেলার মাটি, পিিন ও আবহাওয়া শজনে চাষের উপযোগী হওয়ায় এই উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌরশহর ও এর আশপাশের সর্বত্রই প্রচুর পরিমাণে শজনে গাছ আছে। এসব গাছ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার টন শজনে উৎপাদন হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, তিনি বলেন এই উপজেলায় মাটি ও আবহাওয়া শজনে চাষে উপযোগী। এখানে বাণিজ্যিকভাবে শজনে চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকে আম, জাম, কাঠাল, লিচু বাগানের মতো এখন শজনে গাছের বাগান করতে শুরু করেছেন। দেশের অনেক উপজেলায় এখানকার শজনে গাছের ডাল পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন