পাবনা জেলার অনেক অভ্যন্তরীণ এবং জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশায় নিপতিত হয়ে আছে অনেক দিন হল। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা । কোন কোন রাস্তা নির্মাণের-সংষ্কারের পর ৬ মাস টিকছে না। উঠে যাচ্ছে বিটুমিন এবং কংক্রিট ঢালাই। ঠিকারদার বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে টেন্ডারকারী দপ্তরের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, ক্ষতিপূরণ আদায় করা, ঐ সব ঠিকাদার বা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভূক্ত করা বিধান থাকলেও অজানা কারণে তা করা হয় না। কাজের অর্ধেক সম্পন্ন না হতেই পার্ট বিল দিয়ে দেওয়া হয়। কাজ শেষে সম্পূর্ণ বিল সরকারি তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু জনদুর্ভোগ কমে না। পাবনা-চাটমোহর রাস্তাটি অভ্যন্তরীণ হলেও এই রাস্তা চারটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার বন্ধনে আবদ্ধ। পাবনার টেবুনিয়া থেকে চাটমোহর পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলো মিটার রাস্তা আগের চেহারায় নেই। রাস্তা-জুড়ে খাল-খন্দ, আর ভাঙ্গা । এই রাস্তাটি প্রায় বছরই সংষ্কার করা হয় তবে টেকসই হয় না। পাবনা-চাটমোহর সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার একেবারেই যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে পাবনা- সুজানগর সড়কে । পাবনা সুজানগর সড়কের কোলাদীতে (ইন্দারা) রাস্তার দুই পাশে মাটি ধ্বসে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পাবনার রাস্তা-ঘাটের বেহাল পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলীগণ রাস্তার দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলছেন, সামান্য যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তা দিয়ে সব রাস্তা মেরামত করা সম্ভব হয় না। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের বা সংষ্কারের পর টেকসই হয় না কেন ? এই প্রশ্নের সদুত্তোর পাওয়া যায় না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন