আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : বগুড়ার সান্তাহারে দুই পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা দায়েরের পর এবার বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে একটি পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৮ জানুয়ারি বগুড়ার আদালতে স্থানীয় বেশকিছু আ.লীগ নেতাসহ ২৮ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দুটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চার্জার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় জাপা নেতা ফেরদৌস হাসান সুমনের পিতা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আফজালুল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ নগদ ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করাসহ ২২ লাখ ৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আদালত মামলাটি আদমদীঘি থানাকে এজাহারভক্ত করার নির্দেশ দিলে গত শুক্রবার মামলাটি রেকড করা হয় বলে থানার ওসি শওকত কবির জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে শহরের বিপি স্কুল এলাকায় পূর্বের জের ধরে এই দুই শ্রমিক সংগঠনের সংঘর্ষে ২ জন নিহতসহ ১০ জন আহত হয়। ঘটনার পর নিহত যুবলীগ নেতা শফিকুলের বড় ভাই সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি নুর ইসলাম বাদী হয়ে ২৩ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এবং নিহত সিএনজি চালক সোহাগের পিতা নওগাঁ সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের আবদুল খালেক বাদী হয়ে ২৮ জনকে এজাহারভক্ত ও ১শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আদমদীঘি থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে যুবলীগ নেতা শফিকুল ও সিএনজি চালক সোহাগের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে স্থানীয় আ.লীগ, সিএনজি মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় আদমদীঘি উপজেলা ও সান্তাহার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে শহরের রেলগেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে আদমদীঘি উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, আবু রেজা খান, সাজেদুল ইসলাম চম্পা, শ্রমিক লীগ নেতা রাসেদুল ইসলাম রাজা, যুবলীগ নেতা শাহিনুর ইসলাম মন্টি, জিল্লুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা সুমন, সোহাগ, রিগান স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা মোশারফ হোসেন, জয়নাল, রকিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন