ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের দশ মাস পার হয়ে গেলেও এখনো পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি যুবলীগ। গত বছরের ১৮ জুলাই আগের কমিটি বিলুপ্ত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ার আগামী তিন মাসের মধ্যে সব ইউনিয়নের কমিটি গঠনের পর সম্মেলনের মাধ্যমে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। অথচ এর দশ মাস পার হয়ে গেলেও এখনো সব ইউনিয়নের কমিটি গঠন করতে পারেনি যুবলীগের নতুন এই আহ্বায়ক কমিটি।
অন্যদিকে আহ্বায়ক কমিটি পাওয়ার পর পরই নিজেদের আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও জমি দখল, ঝুট ব্যবসা দখল ও চাঁদাবাজীর অভিযোগও রয়েছে নতুন এই কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এসব কারনে এখন পর্যন্ত যুবলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয় নাই বলে দাবী করছেন যুবলীগের অনেক নেতাকর্মীরা।
দলীয় সুত্র জানায়, গত বছরের ১৮ জুলাই কবির হোসেন সরকার আহ্বায়ক ও মঈনুল ইসলাম ভুইয়াকে যুগ্ন আহহ্বায়ক করে আশুলিয়া থানার ২১ সদস্য বিশিষ্টি একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিটি গঠনের পর ইউনিয়নে নিজের আত্নীয় স্বজনদের দিয়ে নতুন কমিটি দেওয়া শুরু করে যুবলীগের ওই দ্ইু নেতা। থানা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক হওয়ার সুবাধে মঈনুল ইসলাম ভুইয়া তার নিজের পরিবারের দশ জন সদস্য ভাইয়ের ছেলে সোহাগ মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক, নিজের বোনের ছেলে আব্দুল কাইয়ুমকে সাংগঠনিক সম্পাদক, বোনের ছেলে নয়ন মিয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাচাত ভাই বকুলকে সহ-সভাপতি, ভাইয়ের ছেলে শুভকে সহ-সভাপতি, চাচাত ভাই উজ্জল ভুঁইয়াকে ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক, বোনের মেয়ে আমেনা আক্তারকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, চাচাত ভাই আবুল হোসেন ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য, চাচাত ভাই ওয়াসীম ভুঁইয়া ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ভাতিজা দিপুকে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা বানিয়েছেন। একই অভিযোগ রয়েছে আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের মুঠোফোনে একাধিবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন